Fake Fielding Controversy | IND vs BAN: `বাংলাদেশি বন্ধুরা অজুহাত দেবেন না`! স্টেপআউট করে খেললেন ভোগলে
বাংলাদেশি ফ্যানদের শান্ত করতে মাঠে নামলেন হর্ষ ভোগলে। ভেজা মাঠ ও ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ বিতর্কে ইতি টানতে ভোগলে পরপর ট্যুইট করলেন। সাফ বলে দিলেন যে, ঘটনা নিয়ে কথা হচ্ছে, তা কেউ চোখে দেখেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত-বাংলাদেশ (IND vs BAN, ICC T20 World Cup 2022) ম্য়াচের পরের দিনও বিতর্ক অব্যাহত। গত বুধবার অ্যাডিলেড ওভালে (Adelaide Oval) বৃষ্টির জন্য ডাকওয়ার্থ লুইস ((D/L method) নিয়মে খেলা হয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে ভারত এই ম্যাচ জিতে যায় পাঁচ রানে। ম্যাচ শেষের পর দুই বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে। এক) অ্যাডিলেডের বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। দুই) বিরাট কোহলি (Virat Kohli) নাকি ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ (Fake Fielding Controversy) করেছেন! বাংলাদেশি সমর্থকদের অনেকেই তাঁকে 'প্রতারক' বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটীয় দেশের সমর্থকদের দাবি আম্পায়াররা শাস্তি হিসাবে পাঁচ রান দিলে বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিতে যেতে পারত।
এহেন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার মাঠে নামলেন ক্রিকেট পণ্ডিত হর্ষ ভোগলে। একেবারে স্টেপআউট করে খেলেলেন তিনি। ভোগেল লম্বা ট্যুইট করে লেখেন, 'ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের ঘটনায় বলতে পারি যে, এ এমনই এক সত্য, যা কেউ দেখেনি। আম্পায়ার থেকে ব্যাটার, কেউ না। এমনকী আমরাও দেখিনি। ক্রিকেট আইনের ৪১.৫ ধারা মেনে ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের জন্য পেনাল্টির নিয়ম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু যে ঘটনা নিয়ে কথা হচ্ছে, তা কেউই চোখে দেখেনি। তাহলে আর কী করণীয়! আমার মনে হয় না, ভেজা মাঠ নিয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে পারে। সাকিব ঠিকই বলেছে, ভেজা মাঠ ব্যাটিং সাইডের ফেভারেই থাকে। আম্পায়ার ও কিউরেটরদের কাজই হচ্ছে খেলা চালিয়ে যাওয়া যতক্ষণ সম্ভব। ওরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেছে। যাতে ন্যূনতম সময় নষ্ট হয়। বাংলাদেশি বন্ধুদের বলব, লক্ষ্যপূরণ করতে না পারার জন্য ভুয়ো ফিল্ডিং বা ভেজা মাঠের কারণ দেবেন না। কোনও একজন ব্যাটার শেষ পর্যন্ত থেকে গেলে, বাংলাদেশ হয়তো জিততে পারত। যখন আমরা অজুহাত খুঁজি তখন আমার সকলেই দোষী। এভাবে উন্নতি করা যায় না।'
অ্যাডিলেডে বৃষ্টি নামার আগের ঘটনা। বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফ সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন। বিরাট পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন। অর্শদীপ বল থ্রো করার সময়, বিরাট বল মাঠ থেকে তুলে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি। যদিও বাংলাদেশের সমর্থকরা বিরাটের এই আচরণ মেনে নিতে পারছেন না।