নিজস্ব প্রতিবেদন: সিংহ দরজা দিয়ে ঢোকার সুযোগ প্রায় শেষ, দলে ঢুকতে হলে এবার অলৌকিক কিছু করতে হবে ঋদ্ধিমান সাহাকে। আর  তা না করতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঋদ্ধির কামব্যাক কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হবে, মত কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ অনিল কুম্বলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সাধু উদ্যোগ! দৃষ্টিহীন ফুটবলারদের জন্য নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল সুনীল ছেত্রীর ভারত


সম্প্রতি ক্রিকেট নেক্সট-কে ঋষভ বনাম ঋদ্ধিমান ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রাক্তন কোচ। বলেছেন, “সাহার (ঋদ্ধিমান) জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ও যে সময়ে চোট পেল ভারত তখনই দেশের বাইরে সিরিজ খেলছে। ওর কিপিং বিশ্বমানের। উইকেটের পিছনে সাহা দুর্দান্ত। ব্যাটেও অবদান রাখে। কিন্তু পন্থ (ঋষভ) সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। ” তিনি আরও বলেন, “ঋষভ পন্থকে নিজের কিপিংয়ে এখনও আরও অনেক উন্নতি করতে হবে। ও এখন তরুণ, উন্নতি করার অনেক সময় আছে। তবে ওর ব্যাটিং প্রশংসনীয়। সাহার জন্য দলে ফেরা খুব কঠিন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু অনবদ্য পারফরম্যান্স করলেই একমাত্র ফেরা সম্ভব। নিঃসন্দেহে ব্যাটিংয়ে সাহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে পন্থ।”



(অনিল কুম্বলে)


প্রসঙ্গত, ঋদ্ধির চোটের কারণেই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন দিল্লির এই উইকেট কিপার। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে ২১ বছরের ঋষভ পন্থই ছিল দলের পয়লা নম্বর কিপার। স্কোয়াডে পার্থিবকে রাখা হলেও একটি ম্যাচেও তাঁকে খেলানো হয়নি। এখনও পর্যন্ত ৯টি টেস্ট খেলেছেন ঋষভ। ইতিমধ্যেই  তাঁর ঝুলিতে এসেছে ২টি শতরান। প্রথমটি এসেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দ্য ওভালে জীবনের প্রথম টেস্ট শতরানটি করেছিলেন ঋষভ। আর দ্বিতীয় শতরানটি এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সিডনিতে। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক রান স্কোরারের তালিকাতেও রয়েছেন তিনি। চেতেশ্বর পূজারার পরেই  তাঁর নাম। একটি শতরান-সহ এই সিরিজে ঋষভের সংগ্রহ মোট ৩৫০ রান। যা বিরাটের (২৮২) থেকেও  বেশি।


আরও পড়ুন- মহিলাদের অসম্মান করে মন্তব্য! বিসিসিআইয়ের জবাবদিহি, ক্ষমা চাইলেন হার্দিক


ঋদ্ধির বিশ্বস্ত তালু নিয়ে কারোর কোনও সন্দেহই নেই। বিরাট কোহলি থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কিপার হিসেবে ঋদ্ধি তাঁদের চোখে বিশ্বের এক নম্বর। কিন্তু ব্যাটসম্যান-কিপার হিসেবে এই একই সংশাপত্র ঋদ্ধিকে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ব্যাটে তাঁর পারফরম্যান্স ততটাও উজ্জ্বল নয়। যতটা ঝকঝকে পন্থের। এখনও পর্যন্ত ৩২টি টেস্ট খেলেছেন বাংলার এই কিপার। মোট ৪৬ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ১ হাজার ১৬৪ রান। ঝুলিতে রয়েছে তিনটি শতরান, তবে তা ধারাবাহিকভাবে আসেনি।   এদিক থেকে বিচার করলে সাহা খানিকটা হলেও পিছিয়ে। আর সেকারণেই লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর কামব্যাক আরও অন্ধকারের দিকে ঢলে পড়ছে, মত কুম্বলের।