‘... ও যেখানে খুশি মরুক, আমি দেখতেও যাব না’
“সামি চরিত্রহীন পুরুষ। যেখানে সেখানে মেয়েদের সঙ্গে নোংরামি করে। আমি আত্মসম্মান বিকিয়ে দিইনি। আমার ওর কোনও খোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমি সামির খোঁজ রাখতেও চাই না”।
সৌরভ পাল
১৯ ওভার। ৬৪ রান। ঝুলিতে ২ উইকেট। স্মরণীয় না হলেও একেবারে ফেলেও দেওয়া যাবে না মহম্মদ সামির এই পারফরম্যান্স। ওপেনার জেনিনিংসকে বোল্ড আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মালানকে লেগ বিফোর দ্য উইকেট, এজবাস্টনে এই দুই ব্রিটিশই সামির শিকার। প্রথম দিনের খেলা শেষের একেবারে শেষ মুহূর্তে দীনেশ কার্তিক ক্যাচ না-ফেললে অ্যান্ডারসনের উইকেট-টাও হত সামির। স্কোর বোর্ডে তাঁর নামের পাশে লেখা থাকত ৩ উইকেট। সেটা না হলেও এজবাস্টনের স্লো উইকেটে সামির এই পারফরম্যান্সে খুশি ভারতীয় ক্রিকেট মহল। মিট দ্য প্রেস-এ এসে সামি নিজে বলে গেলেন, “পরিশ্রমের ফল পেয়েছি”।
আর সামি-পত্নী কি না বলছেন, “ও (সামি) যেখানে খুশি মরুক, আমি দেখতে যাব না”। অতীতের অবস্থান থেকে এক চুলও না-সরে হাসিন জাহাঁ জি ২৪ ঘণ্টা-কে জানালেন, “আমার ক্রিকেট নিয়ে কোনও উত্সাহ নেই। আগে ক্রিকেট দেখতে হয়েছে চাপে পড়ে। এখন তো আর সে প্রশ্নই নেই”। একই সঙ্গে সামির বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগের কথা তুলে হাসিন বলেন, “সামি চরিত্রহীন পুরুষ। যেখানে সেখানে মেয়েদের সঙ্গে নোংরামি করে। আমি আত্মসম্মান বিকিয়ে দিইনি। আমার ওর কোনও খোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমি সামির খোঁজ রাখতেও চাই না”।
আরও পড়ুন- শতাব্দীর সব থেকে খারাপ ডেলিভারি এটাই!
এখানেই শেষ নয়। সামির বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ এনে হাসিন বলেন, “গুন্ডাদের দিয়ে আমাকে শাসানো হচ্ছে। পরিচালক, বন্ধু, যে কারও সঙ্গেই আমাকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইউটিউবে একাধিক চ্যানেল আমার নামে নোংরা-নোংরা কথা বলছে সামি”। নিজের পরিবার, কেরিয়ার নিয়ে ভাবতে গেলে সামি-কে নিয়ে ভাবলে চলবে না, সেকথাও অবলীলায় জানালেন হাসিন জাহাঁ।
আরও পড়ুন- ২০১৯ আইপিএল দেশের বাইরে! হাত বাড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রসঙ্গত, মহম্মদ সামি আর হাসিনের জাহাঁর মধ্যে পারিবারিক বিবাদের কথা সামনে আসে এবছরের শুরুর দিকে। ভারতীয় স্পিডস্টারের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, দাদাকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর চক্রান্ত-সহ আরও নানবিধ অভিযোগ এনেছেন হাসিন। পরিবারের দেখভাল করেন না সামি, এমনও অভিযোগ করা হয়েছে হাসিনের তরফে। এরপর পাল্টা তোপ দাগেন মহম্মদ সামিও। পরে সামি-হাসিন দু’জনেই আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা এখনও চলছে।