পার্থ প্রতিম চন্দ্র: অনায়াসে তাঁকে আইপিএলের মুকুটহীন রাজা বলা যায়। গত আট মরসুমে ব্যাটে-অধিনায়কত্বে-উইকেটের পিছনে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অপ্রতিরোধ্য মনে হয়েছে। আইপিএলে ধোনি যাতেই হাত দেন, তাতেই সোনা ফলে। এটা একেবারে প্রবাদের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আটটা আইপিএলের ছটাতে সিএসকে-কে ফাইনালে তুলেছেন। দু'বার কাপ এনে দিয়েছেন। ব্যাটে-কিপিংয়ের মত ক্যাপ্টেন হিসেবে যখন যা করেছেন বেশিরভাগ সময়ই সফল হয়েছে। কিন্তু সব সুখেরই একটা শেষ অপেক্ষা করে থাকে। ধোনির ক্ষেত্রে মনে হয় তাই হল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিদায়টা যেন ধোনির গুডলাকটাও নিয়ে চলে গেল। তা না হলে আইপিএল নাইনে অন্তত তিনটে ম্যাচে যেভাবে হারলেন ধোনি, তাতে এই কথাটা বলতেই হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল, শুক্রবার রায়ানাদের বিরুদ্ধে ১৯৫ রান তুলেও জেতা গেল না। রাহানের মত ফ্লিডারও শেষ মুহূর্তে বড় ভুল করে বসলেন। ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সবচেয়ে বড় কথা যেটা আগের কোনও আইপিএলে মনে হয়নি, এবার সেটাই দেখাচ্ছে বেশ কিছু সময বডি ল্যাঙ্গুয়েজই ধোনির অসহায়ভাব প্রমাণ করছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কী ধোনির আইপিএল সাফল্যের আসল কারণটা ছিল তারকাখচিত দল। রায়না, ব্রাভো, জাদেজা, ম্যাককুলামরা দল ছাড়তেই ধোনি কী অসহায় হয়ে গেলেন! মানে অনেক সময়ই মেসির বিরুদ্ধে সমালোচকরা বলেন, উনি ক্লাবের হয়ে সফল দেশের হয়ে নন, কারণ ক্লাবে ওনার পাশে থাকেন নেইমার, সুয়ারেজ, ইনিয়েস্তারা।


 ৭ ম্যাচ খেলে ধোনির পুণে সুপার জায়েন্টেসর পয়েন্ট মাত্র ৪। এখান থেকে প্লে অফে উঠতে গেলে বাকি ৭ ম্যাচের অন্তত ৫টাতে জিততেই হবে। এখন দেখার এখান থেকে ধোনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কি না।