`কোয়েস` এর সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ ইস্টবেঙ্গলের?
ওদের সঙ্গে যেদিন থেকে আমাদের চুক্তি হয়েছে তার ৭ দিন পর থেকেই আমরা বেরিয়ে যেতে চেয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দু বছর গড়াতে না গড়াতেই বিনিয়োগকারী সংস্থা 'কোয়েস' এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। শতবর্ষ উত্সবের ঢাকে কাঠি পড়ার দিনেই লাল-হলুদ তাঁবুতে এমন জল্পনা দানা বাঁধল।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিতর্ক পিছু ছাড়ল না ইস্টবেঙ্গলকে। এদিন দেখা গেল না সিনিয়র দলের কোনও ফুটবলারকে। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, কোচ আলেসান্দ্রো নাকি ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন বলেই নাকি তারা অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। তেমনই এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস-এর কোনও কর্তাকেও। পাশাপাশি এদিনের শোভাযাত্রায় বহু সভ্য সমর্থকের পরনে ছিল পুরনো স্পনসর কিংফিশার লেখা ইস্টবেঙ্গল জার্সি। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলও করলেন দেবব্রত সরকার। বলে দিলেন পুরনো হয়ে গেলেও এখনও সম্পর্ক রয়েছে পুরনো স্পনসরের সঙ্গে।
রবিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "কোম্পানি আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয় না। আমরা কোনও কিছু করলে ওদের জানিয়ে করি। বা বলি, এটা ভেবে দেখুন করা যাবে কিনা? যেমন ডুরান্ড কাপটা প্রথম সারির দল নামানো নিয়ে বলেছিলাম। ওরা শুনেছে। কোচের সঙ্গে কথাও বলেছে।"
বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস নিয়ে যেন 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। এদিন তো লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেই দিলেন, "ওদের (কোয়েস) আর ভাল লাগছে না। ওদের সঙ্গে যেদিন থেকে আমাদের চুক্তি হয়েছে তার ৭ দিন পর থেকেই আমরা বেরিয়ে যেতে চেয়েছি।" সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "আমি যতদূর শুনেছি, ওদের অবস্থা ভাল নয়। ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে! বোর্ড মিটিংয়ে অজিত আইজ্যাক নাকি এই কথা বলেছেন। তবে সত্যি/মিথ্যা আমি জানি না।"
আরও পড়ুন - শহর জুড়ে লাল-হলুদ! ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উত্সবের ঢাকে পড়ল কাঠি
তবে চলতি মরশুমে মিটে গেলেই কি লাল-হলুদের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ কোয়েস-এর! কারণ ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ৩১মে নাকি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস-এর বিচ্ছেদ হতে চলেছে।