নিজস্ব প্রতিবেদন: হোলির দিনেই আই লিগের রঙ হল সবুজ-মেরুন। কল্যাণীতে আইজল এফসিকে ১-০  গোলে হারিয়ে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি ঘরে তুলে নিল মোহনবাগান। তিন বার জাতীয় লিগ জয়ের পর দ্বিতীয়বার আই লিগ ঘরে তুলল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দোলের দিন রিয়াল কাশ্মীরকে হারিয়ে বাগানের আই লিগ জয়ের পথকে অনেকটাই সুগম করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার হোলির দিনই কি আই লিগের রঙ হবে সবুজ-মেরুন? প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল ময়দান জুড়ে। অঙ্কের খুব সরল সমীকরণ ছিল, আজ আইজলকে হারালেই ২০১৪-১৫ মরশুমের পর আবার মোহনবাগানের হাত ধরে আই আই লিগ আসবে বাংলায়, সেটা নিশ্চিত ছিল।  তাই তো সবুজ-মেরুন আবির মেখে পাল তোলা নৌকা, আই লিগ ট্রফির রেপ্লিকা, ঢাক-ঢোল নিয়ে উত্সবের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল বাগান জনতার। ফ্রান গঞ্জালেস, জোসেবা বেইটিয়াদের পরিবারের লোকজনও হাজির ছিলেন কল্যাণী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূহূর্তটা মাঠে থেকে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন তাঁরাও। হতাশ করেননি ভিকুনার দল। তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৭৯ মিনিট পর্যন্ত।



টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে মঙ্গলবার কল্যাণীতে আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল কিবু ভিকুনার মোহনবাগান। বাবা-তুরসনোভ, ফ্রান, বেইটিয়াদের বিরুদ্ধে রক্ষণ সামলে পাল্টা আক্রমণের পথেই পা বাড়াল পাহাড়ের দলটি। একদিকে অবনমনের  আতঙ্ক (আইজল এফসি) অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নশিপের হাতছানি (মোহনবাগান) -বিপরীত মেরুর দুই দলের লড়াই অবশ্য বেশ জমে উঠেছিল কল্যাণীতে। বেশ কয়েকবার বাগান রক্ষণে চোরাস্রোত বইয়ে দিলেন রোচাজেলা, ভেরনরা। অন্যদিকে কোমরন, বাবা, শেখ সাহিল, নওরেমদের আক্রমণ সামাল দিলেন কাগাসা, জেরিয়ানরা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন কোমরন তুরসনোভ। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।


 


দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই মোহনবাগানের রক্ষণে আক্রমণ শানাতে থাকে আইজল এফসি। ক্রমশ ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে থাকে পাহাড়ি দলটি। কিন্তু হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ৭৯ মিনিটে বেইটিয়ার দৌড়, বাবাকে পাস। লিগে নিজের ১০ নম্বর গোলটা করে মোহনবাগানকে লিগ এনে দিলেন পাপা বাবাকার দিওয়ারা।  ম্যাচ শেষ হল ১-০ গোলে। টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত মোহনবাগান। ১৬ ম্যাচ শেষে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে কিবু ভিকুনার দল। ২০০৯-১০ মরশুমে ডেম্পো চার ম্যাচ বাকি থাকতে আই লিগ জিতেছিল। এবার ডেম্পোকে ছুঁয়ে ফেলল মোহনবাগান।