পাকিস্তানকে নির্বাসিত করতে পারে আইসিসি! কারণ ইমরান খান
পিসিবির সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ৪৫-এ লেখা রয়েছে, সরকার যদি চায় তা হলে বোর্ড-এর সংবিধানে পরিবর্তন আনতে পারে। সংবিধানে কোনও নিয়ম জুড়ে দেওয়ার বা ছেঁটে ফেলার অধিকার সরকারের রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিম্বাবোয়ের মতো দশা হতে পারে পাকিস্তানের। আইসিসির ফান্ডিং থেকে বঞ্চিত থাকবে জিম্বাবোয়ে। এমনকী আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলতেও পারবে না জিম্বাবোয়ে। আইসিসির দাবি, জিম্বাবোয়ের বোর্ড নির্বাচন স্বচ্ছ নয়। তা ছাড়া বোর্ডের অভ্যন্তরে সেই দেশের সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রভাব ছিল বলেও জানিয়েছে আইসিসি। একইরকম কাণ্ডের জন্য আইসিসির কোপের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। জিম্বাবোয়ের নির্বাসন পাকিস্তানের কাছে ওয়ার্নিং বেল, মনে করছে ক্রিকেট বিশ্বের অনেকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও দেশের সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে। সৌজন্যে ইমরান খান।
আরও পড়ুন- ধোনির মতো লেজেন্ডরা জানেন কবে অবসর নিতে হবে: এমএসকে প্রসাদ
পিসিবিতে পাকিস্তান সরকারের সরাসরি দখলদারি রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পিসিবির প্যাট্রন পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডন-এর তথ্য অনুযায়ী, পিসিবির সংবিধানে এমন অনেক অনুচ্ছেদ রয়েছে যেখানে সরকারী হস্তক্ষেপের অধিকার রয়েছে। তা ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে বোর্ডের প্যাট্রন পদের দায়িত্ব দেওয়ায় সরাসরি সরকারি দখলদারির প্রশ্নও চলে আসে। এমন অবস্থায় পিসিবির সংবিধান নিয়ে আইসিসি প্রশ্ন তুলতে পারে। আর তেমন হলে পিসিবির সাংবিধানিক নিয়ম বিপাকে ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। তাদের অবস্থাও হতে পারে জিম্বাবোয়ের মতো।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ ফাইনালে স্টোকসের ব্যাটে লেগে ওভার থ্রোতে ৬ রান, ভুল স্বীকার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার!
পিসিবির সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ৪৫-এ লেখা রয়েছে, সরকার যদি চায় তা হলে বোর্ড-এর সংবিধানে পরিবর্তন আনতে পারে। সংবিধানে কোনও নিয়ম জুড়ে দেওয়ার বা ছেঁটে ফেলার অধিকার সরকারের রয়েছে। আরেক জায়গায় লেখা রয়েছে, প্যাট্রন চাইলে বোর্ডের জেনারেল পলিসি নিয়ে নিজের মতামত জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে বোর্ডকেও প্যাট্রন-এর মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকী পিসিবির অধ্যক্ষকে সরানোর অধিকারও রয়েছে প্যাট্রনের। পাকিস্তানের দাবি, ২০১৪ সালে তাঁদের সংবিধানকে মান্যতা দিয়েছে আইসিসি। এর আগে সংবিধানে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও নেপাল ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করেছিল আইসিসি। এবার কি তবে পাকিস্তানের পালা! কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলের একাংশ মনে করে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পিসিবির কাজে বড্ড বেশি হস্তক্ষেপ করেন। কারণ, তাঁর সঙ্গে ক্রিকেটের যোগ রয়েছে। আর তিনি এখন সরকারে। ফলে পিসিবির ভাল-মন্দ তাঁর চোখ এড়ায় না। আর এটাই বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।