বল বিকৃতি আর `কাণ্ড` নয়! ক্রিকেটে এবার বৈধ হতে পারে এতদিনের অবৈধ কাজ
করোনা পরবর্তী সময়ে থুতু দিয়ে বলের পালিশ বজায় রাখা যাবে না। তা হলে বলের পালিশ বজায় থাকবে কী করে!
নিজস্ব প্রতিবেদন— থুতু বা লালা দিয়ে বলের পালিশ উজ্জ্বল রাখার রীতি ক্রিকেটে বহু পুরনো। যুগের পর যুগ ধরে এই রীতিই চলে আসছে। কিন্তু অনেকেই বলেছিলেন, করোনা পরবর্তী পৃথিবী আগের মতো হবে না। বদলে যাবে অনেক পুরনো রীতি—নীতি। বদল আনতে হবে অনেক পুরনো ভাবনায়। করোনার প্রভাব ক্রিকেটে পড়েছে। একের পর এক টুর্নামেন্ট বাদের খাতায় পড়ে গিয়েছে। করোনা পরবর্তী কালে থুতু বা লালা দিয়ে ক্রিকেটাররা আর হয়তো বলের পালিশ উজ্জ্বল রাখতে পারবেন না। তা হলে! আইসিসি তাই এবার বহুদিনের অবৈধ কাজকেই এবার বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছে।
বল চকচকে করতে থুতু ব্যবহার করা যাবে। বলে কাদা লাগলে সেটা আম্পায়ারের তত্ত্বাবধানে মুছে ফেলা যাবে। বল ভিজে গেলে আম্পায়ারের থেকে তোয়ালে চেয়ে নিয়ে মুছে নেওয়া যাবে। কিন্তু বলের পালিশ বজায় রাখতে কৃত্রিম কোনও জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। চুইংগাম বা অন্য কোনও ধরণের জিনিস ব্যবহার করে বল বিকৃতি করার চেষ্টা করলে এতদিন সেটা অবৈধ কাজ বলে গণ্য করা হত। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে থুতু দিয়ে বলের পালিশ বজায় রাখা যাবে না। তা হলে বলের পালিশ বজায় থাকবে কী করে! বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে! বল পুরনো হলে তো মুভমেন্ট কম হবে। বোলাররা কোনও সাহায্য পাবেন না। আইসিসি তাই নতুন করে ভাবতে বসেছে।
আরও পড়ুন— ICC বোর্ড মিটিং স্থগিত, চেয়ারম্যান পদে থেকে যেতে পারেন শশাঙ্ক মনোহর
বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িত থাকায় স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার চরম শাস্তি ভোগ করেছেন। এবার তবে সেই বল বিকৃতি আর কাণ্ড থাকবে না। আইসিসি ভাবছে, আম্পায়ারদের কাছে কৃত্রিম কোনও বস্তু রাখা থাকবে। সেটা ব্যবহার করেই বলের পালিশ বজায় রাখা যাবে। তার মানে আইসিসির সনাতন প্রথায় এবার বড়সড় বদল আসছে। বলের পালিশ রক্ষা করতে তা হলে কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করা হবে এবার। আইসিসির মেডিকেল কমিটির প্রধান ড. পিটার হারকোর্ট বলেছেন, করোনার জেরে পরিস্থিতি এখন জটিল হয়েছে। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও আপোস করা যাবে না। সমস্যা হবে ঠিকই। কিন্তু আমাদের উপায়ও বের করতে হবে।