নিজস্ব প্রতিবেদন: আগের ওভারেই সামিউল্লাহ সেনওয়ারি দিয়েছেন ২ রান। ৫ ওভারে বাকি ছিল ৪৬ রান। হাঁসফাঁস অবস্থা পাকিস্তানের। সেখান থেকে একটা ওভারে ১৮ রান ম্যাচটা সরফরাজদের উপহার দিয়ে দিলেন গুলাবদিন নইব। আফগানিস্তানের ভিলেন খোদ দলের অধিনায়কই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৪৮ রান। বলতে করতে এলেন সেনওয়ারি। দিলেন মাত্র ২ রান। সেনওয়ারির কৃপণ বোলিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচের রাশ হাতে নিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। তখনও রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের এক ওভার বাকি। কিন্তু না, বল হাতে তুলে নিলেন গুলাবদিন নইব। অথচ ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি দিয়ে ফেলেছেন ৪৭ রান। আর বোলিংও করলেন পাড়া ক্রিকেটের মতো। লাইন-লেংথের বালাই নেই। ওই ওভারেই উঠল ১৮ রান। ব্যস রানে-বলে সমান হয়ে দাঁড়াল। এক ওভারেই রাশ আলগা করে দিল আফগানিস্তান। অথচ রশিদ খান ও মুজিবের ওভার বাকি ছিল। রশিদ বা মুজিবকে ওভারটা দিয়ে সেনওয়ারিকে দিয়ে একটা ওভার করাতে পারতেন নইব। সেনওয়ারি হাত ঘুরিয়েছেন ৮ ওভার।  


নইবের অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ৩৯ ওভারে ১৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একেবারে বেকায়দায় পাকিস্তান। অথচ তখন চেপে ধরল আফগানিস্তান। সহজেই পাকিস্তানিদের খুচরো রান করতে দিল আফগানিস্তান।        
                       
বিশ্বকাপে আম্পায়িঙের মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গত ম্যাচেই রোহিত শর্মাকে ভুল আউট দেওয়া হয়েছে। এদিন হ্যারিসের ব্যাটে কানায় লাগলে আউট দেননি আম্পায়ার। রশিদের বলে ইমাদ ওয়াসিমের স্পষ্ট এলবিডব্লু-ও দেওয়া হল না। ইমাদ তখন ১ রানে ব্যাট করছিলেন। সেই ইমাদই ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে হলেন ম্যাচের সেরা। ইমাদকে ওই সময় পেয়ে গেলে বদলে যেত ম্যাচের রং। 


এদিন আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই রান টপকাতেই হিমশিম অবস্থা হচ্ছিল পাকিস্তানের। শেষপর্যন্ত ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাটে ৪৯ রানের ইনিংস বাঁচিয়ে দিল সরফরাজদের। পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থস্থানে উঠে এল ভারতের পড়শি দেশ।


আরও পড়ুন- নতুন ইনিংস! এবার টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করবেন যুবরাজ সিং