ওয়েব ডেস্ক: উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুরে এখন উত্সবের মেজাজ। ইচ্ছাপুরের গলি থেকে বিশ্বমঞ্চে রাহিম আলি। যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য রাহিম। বিশ্বকাপে বাংলার এই ফুটবলারকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে। ইচ্ছাপুরের বিধানপল্লীর রাস্তায় ঝুলছে পেল্লাই একটা জাতীয় পতাকা। রাস্তার দু ধারে রাহিম আলির ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে ব্যানার। এলাকা জুড়ে উত্সবের পরিবেশ। ইচ্ছাপুরের গলি থেকে বিশ্বমঞ্চে রাহিম আলি। যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা রাহিম। ছোটবেলা থেকেই লড়াই করতে হয়েছে দারিদ্রতার সঙ্গে। বাবা মহম্মদ রফিক সামান্য কিছু কাজ করেন। মা সীমা বেগম গৃহবধু। চার বছর বয়স থেকেই ফুটবলের পিছনে দৌড়েছে রাহিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন এক ঝলকে চিনে নিন বিশ্বকাপে খেলতে চলা ২১ জন ভারতীয় ফুটবলারকে


বাবা-মার বকুনি সত্তেও সবুজ মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সেই বাবা-মার গর্ব এখন তাদের ছেলে। সেই রাহিমের অবশ্য বিশ্বকাপে খেলাই একটা সময় অনিশ্চিত ছিল। চলতি বছর বয়স দেখার জন্য সব ফুটবলারের এমআরআই করাতে বলেছিল ফেডারেশন। সেই এমআরআই করারও সামর্থ ছিল না রাহিমের পরিবারের। পাড়ার কোচেরা শেষ পর্যন্ত কলকাতায় রাহিমকে নিয়ে এসে এমআরআই করান। অবশেষে বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্রটা পায় রাহিম। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ছেলেকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে রাহিমের বাবা-মা। ছেলের খেলা দেখতে দিল্লি যাওয়া হচ্ছে না রাহিমের বাবা-মার। টিভির পর্দাতেই চোখ থাকবে তাদের। ইচ্ছাপুরের পাড়াতেও খুব জনপ্রিয় রাহিম। বাংলার এই তরুণ ফুটবলারকে ঘিরে পাড়াতেই তাই অনেক প্রত্যাশা।


আরও পড়ুন  জানেন দু'বছরে অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দলের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে?