নিজস্ব প্রতিনিধি: আয়লা থেকে বুলবুল কিংবা এক বছর আগের আমপান! প্রলয়-ঝড়ের ধ্বংসচিহ্ণ বয়ে নিয়ে চলেছে সুন্দরবন। সম্প্রতি সাইক্লোন ইয়াসেও (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত সুন্দরবনের গোসাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিপ্রদাসপুর। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা হওয়াতে এখানেও ইয়াস ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালিয়েছে। এখানেই রয়েছে আইএফএ-র অনুমোদিত নার্সারি অ্যাকাডেমি (অনূর্ধ্ব-১৭)। এখান থেকে বঙ্গ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল তাদের পাশে থাকার জন্য। খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছেন আইএফএ (IFA) সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ালেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:COVID-19: বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য এবার টিকাকরণ শুরু করল CAB


জয়দীপ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ফোনে বলেন, "এই নার্সারি অ্যাকাডামিতে প্রচুর প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। একেতে লকডাউন, তারওপর সাইক্লোন ইয়াসে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ওই এলাকার। আমি আইএফ-এর তরফে সচিব হিসেবে গিয়েছিলাম। ছেলেগুলোকে দেখতে পেয়ে আমার বড্ড ভাল লাগল। ওরাও খুশি হয়েছে আইএফএ-র কাউকে পেয়ে। ওরা এই মানসিক অবস্থার মধ্যেও বলছে কবে খেলতে পারবে। সত্যি আমার কাছেও তো কোনও উত্তর নেই। কিন্তু ওদের কাছে যেতে পেরে আমি আনন্দিত। এটুকু তো করতেই পারি। ওখান ৬৩ জন আছে। ৬০ জন এসেছিল পরিবারের সঙ্গে। আমারা চাল ডাল, তেল, সোয়াবিন, নুন,আলু, পিঁয়াজ ও আইএফএ-র মাস্ক তুলে দিয়েছি। আশা করি কিছুদিন চলে যাবে ওদের।" 


ইয়াসের অগ্রিম মোকাবিলাতেও সিএবির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দুরন্ত উদ্যোগ নিয়েছিল আইএএফএ। দুর্যোগের সময় ময়দানের সকল ক্লাবের মালি ও কর্মীদের জন্য ইডেনের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা ইডেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে।