পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা, ``কতবার ভারতকে হারিয়েছি, খারাপই লাগে``
ইনজির থেকেও এক গজ এগিয়ে মন্তব্য করে বসলেন ইমরান। বললেন মনের কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদন— বিশ্বকাপে দেখা হলেই ভারতের সামনে নতজানু হয়ে বসে পড়ে পাকিস্তান। সেসব মনে নেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। নাকি আছ! থাকলেও তিনি সেটা বেমালুম অস্বীকার করলেন। সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তান বারবার নাস্তানাবুদ হয়েছে ভারতের সামনে। সেটাও মনে পড়ল না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তবুও ভারত—পাকিস্তান দ্বৈরথ বলে কথা। বাজার গরম না থাকলে হয়! দুই দেশের বহু প্রাক্তনই সময়ে—অসময়ে একে অপরের তুলোধনা করেছেন। আর এবার করোনার এই সঙ্কটের সময় ইমরান খান পড়লেন ভারত—পাক লড়াই নিয়ে।
এই তো সেদিন হঠাত্ করে ইনজামাম উল হকে কী সব বলে বসলেন! ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নাকি দেশের জন্য খেলেন না। নিজেদের জন্য খেলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ৩০-৪০ রান করলেও সেটা দলের স্বার্থে করেন। এগুলো তাঁর ব্যক্তিগত উপলব্ধি। এসব দাবির পিছনে কোনও যুক্তি বা প্রমাণ তিনি অবশ্য খাঁড়া করতে পারেননি। বলতে হয় তাই বলে দিয়েছেন। ভারত—পাক নিয়ে যা বলবেন তাতেই বাজার গরম হবে। উনি ফোকাসে থাকতে পারবেন। আর হলও তাই। সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম তাঁর এমন মন্তব্য ফলাও করে তুলে ধরল। ইনজির অভিপ্রায় পূর্ণ। তবে এবার ইনজির থেকেও এক গজ এগিয়ে মন্তব্য করে বসলেন ইমরান। বললেন মনের কথা।
আরও পড়ুন— বল বিকৃতি আর 'কাণ্ড' নয়! ক্রিকেটে এবার বৈধ হতে পারে এতদিনের অবৈধ কাজ
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের আয়োজিত একটি ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি নিজের খেলার সময়ের দিনগুলোর এক একটি গল্প শোনাতে শুরু করেন। তখনই তিনি হঠাত্ করে সগর্বে বলে ওঠেন, ''আমি পাকিস্তান দলের অধিনায়ক থাকাকালীন কখনওই ভারতীয় দলকে নিয়ে ভাবতাম না। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল আমাদের ভয়ের কারণ।'' এর পর ঠাট্টার সুরেই তিনি বলে ওঠেন, ''ভারতকে তো আমরা কতবার যে হারিয়েছিল। ওদের জন্য খারাপই লাগে।'' স্বাভাবিকভাবেই এই কথা বলার পর সভাঘরে তাঁর জন্য হাততালির রোল ওঠে। ইমরান আবার বলেন, ''ওঁরা তখন খুব চাপে থাকত। টসের সময় ওঁদের ক্যাপ্টেনের মুখ দেখেই বুঝতাম, প্রচণ্ড চাপে আছে বেচারা।''