নিজস্ব প্রতিবেদন :  ফেডারেশনের নরম মনোভাবে সুখদেব কাণ্ডে জরিমানা দিয়েই আপাতত পার পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের ওপর থেকে উঠে গেল ট্রান্সফার ব্যান। বুধবার ফেডারেশনের তরফে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হল, সাত লক্ষ টাকা জরিমানার বিনিময়ে ইস্টবেঙ্গলের ওপর থেকে ট্রান্সফার ব্যান তুলে নেওয়া হল। ডিসেম্বর থেকেই নতুন ফুটবলার সই করাতে পারবে লাল-হলুদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - আই লিগের মুকুটে নতুন পালক, লা লিগার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ফুটবল?


গত মরশুমে আই লিগে মিনার্ভা পঞ্জাবে খেলা সুখদেব সিংকে চলতি মরশুমে ৪০ লক্ষ টাকায় সই করায় ইস্টবেঙ্গল৷ এরপরই মিনার্ভার পক্ষ থেকে ট্রান্সফার অর্থ জমা না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়৷ ফলে পঞ্জাবি স্টপারকে ছাড়পত্র দেয়নি মিনার্ভা৷ সুখদেবের ট্রান্সফার অর্থ না দিয়েই তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হয় বলে অভিযোগ৷ এরপরই শুরু হয় বিতর্ক৷ এদিকে ইস্টবেঙ্গলকে ছাপিয়ে সুখদেবের সঙ্গে ৫৬ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে বসে কলকাতার আর এক প্রধান মোহনবাগান৷ এরপরই সুখদেব ইস্যু গড়ায় এআইএফএফ-এর প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে৷ সুখদেব কোন দলের ফুটবলার সেই নিয়েই শুরু হয় চাপানোতর৷ ফলে কলকাতা লিগে একটিও ম্যাচ খেলা হয়নি পঞ্জাবি স্টপারের৷ সুখদেব ইস্যুতে চুক্তি জালিয়াতির জন্য ইস্টবেঙ্গলকে দোষী সাব্যস্ত করে কমিটি৷ শাস্তি হিসেবে বলা হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কোনও ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল৷ নজিরবিহীন এই শাস্তির ফলে পরবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডো পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল কোনও ফুটবলার কেনাবেচা করতে পারবে না৷ শাস্তি হয় সুখদেব সিং-এরও। চার মাস নির্বাসনে পাঠানো হয় সুখদেবকে৷


আরও পড়ুন - ভারতের কাছে পাকিস্তানের ৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি খারিজ করল আইসিসি


সুখদেব কাণ্ডে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির এই ফুটবলার চুক্তি নিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ফেডারেশনের আপিল কমিটির কাছে আবেদন জানায় ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার অর্থাত্ ১৬ নভেম্বর দিল্লিতে ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান নিয়ে আলোচনায় বসে ফেডারেশনের আপিল কমিটির সদস্যরা। আপিল কমিটির বৈঠকে শেষেই ইঙ্গিত মিলেছিল, নরম মনোভাব দেখাতে পারে ফেডারেশন। সেই মতোই ৭ লক্ষ টাকা জরিমানার বিনিময়ে নভেম্বরের শেষ থেকেই ট্রান্সফার ব্যান উঠে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ওপর থেকে। ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন ফুটবলার সই করতে পারবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই এবার ষষ্ঠ বিদেশি নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে লাল-হলুদ শিবির।