অনুষ্কা শর্মা


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খেলা নিয়ে লেখার কাজটা আমি এই প্রথমবার করছি। আমি ক্রিকেটটা ভালবাসি, কিন্তু দারুণ কিছু বুঝি এটা বললে একদম মিথ্যা হবে। তবু আজ এই কাজটা করতে হচ্ছে। প্রথমে বলি ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা নিয়ে বড্ড টেনশনে ছিলাম। গত বছর সিডনিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখতে মাঠে গেছিলাম। সেদিন স্মিথ, ফিঞ্চরা আমাদের ধোনি, কোহলিদের হারিয়ে দিয়েছিল। সেই ভয়টা কাজ করছিল। জানতাম, আমাদের জিততেই হবে। ম্যাচের শুরুটা দেখে আরও ভয় পেয়ে গেছিলাম। অশ্বিন, বুমরাকে প্রথম ৬ ওভারে বেশ মার খেতে হয়েছিল। তবে তারপর যুবরাজ, হার্দিক, জাদেজারা আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে দিয়েছিল।


ওরা প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলার পর আমার এক বন্ধু বলছিল, দেখিস চাপ আছে। আমি ওকে হেসে বলেছিলাম, ঠিক হয়ে যাবে। ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় যে জায়গায় বসে ছিলাম, সেই জায়গাটা ছেড়ে উঠিনি। যখনই একটু উঠছিলাম দেখলাম শিখর, রোহিত আউট হয়ে গেল। তবে তখনও ভয় লাগেনি। ভয়টা লাগল যুবরাজ আউট হওয়ার পর। বলের সঙ্গে রানের ফারাকটা বেশ চওড়া দেখাচ্ছিল। এরপর যা হল সেটা আর ভাষায় লেখার ক্ষমতা আমার নেই। বিরাটকে ভাল করে চিনি। চাপের মুখে ও সব সময় সেরাটা দেয়। একটু ভুল হল। এই বিরাটকে আমি চিনি না। বিরাট মানেই হাসিখুশি সুন্দর একটা মানুষ। সে কিনা এত কঠিন, এত ধ্বংসাত্মক সুন্দর হয়ে উঠল!


এতো চাপের মুখে, এত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে এভাবেও খেলা যায়। ওর খেলা দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের মত অভিনেতাদের কাছে অভিনয় করাটা অনেক সহজ কাজ। গোটা দেশ, গোটা ক্রিকেট বিশ্ব হা করে চেয়েছিল ওর দিকে। সব প্রত্যাশা নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিল। জানি এবার পাঠক জানতে চাইছেন আমার আর বিরাটের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে। ওটা নিয়ে আমি কিছু বলব না। সবার একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে। সেটা গোপনীয় থাকাই ভাল। মিডিয়া যা খুশি লিখুক, ওতে যদি ওদের কিছু টাকা রোজগার হলে তাতে আমার ক্ষতি নেই। জানি ম্যাচ রিপোর্ট ঠিক লেখা হল না। আসলে বিরাট প্রেমে আমি পাগল কি না এটার উত্তর আমি দেবো না। শুধু বলব, এমন একটা ব্যাটিং দেখে আমি আচ্ছন্ন, আমি মুগ্ধ। এতটা খুশি আমার ছবি অস্কার পেলেও হয়তো আমি হব না।


(না, রিপোর্টটা অনুষ্কা শর্মা নিজে লেখেননি। কিন্তু যদি তিনি লিখতেন তাহলে হয়তো মোহালির ম্যাচ রিপোর্টটা এমনই হত।)  


রিপোর্টটি অনুষ্কার হয়ে লিখে দিলেন পার্থ প্রতিম চন্দ্র