নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লিতে হেলথ এমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লির বাতাস এখন সহ্যসীমার থেকে অনেকটাই বেশি দূষিত। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে দিল্লির বাতাস ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে মত দিয়েছেন চিকিত্সকরা। সেই দিল্লিতেই কিনা ম্যাচ! ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি-২০ হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। কিন্তু তার আগে দিল্লির বাতাসের এমন ভয়ানক অবস্থা। এই অবস্থায় ক্রিকেট খেলা হবে কী করে! বাংলাদেশ লিটন দাস প্র্যাকটিসে নেমেছিলেন মাস্ক পরে। তার পর থেকে যেন আরও চর্চা শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে শীতকাল এলেই দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায়। এই বছর অবশ্য শীতকাল আসের আগেই দিল্লির বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। এমন অবস্থায় ম্যাচ আয়োজন চান না ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গম্ভীর সাফ জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাস এতটাই দূষিত যে সেখানে ম্যাচ আয়োজনের প্রশ্নই ওঠে না। এমন পরিবেশে খেলতে নামলে ক্রিকেটারদের অসুস্ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। গম্ভীর এদিন বলেন, ''সবাই দেখতে পাচ্ছেন দিল্লির বাতাসের কী অবস্থা। এমন অবস্থায় খেলতে নামলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখাটাই আসল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। ম্যাচ আয়োজনের থেকে এই মুহূর্তে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা আসল। দিল্লিবাসীরা এখন ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। বরং এখানকার মানুষ দূষণ নিয়েই বেশি চিন্তিত। সাধারণ মানুষের কাছে এখন সব থেকে বড় সমস্যা দূষণ। সেখানে ম্যাচ হল কী হল না তা অত্যন্ত তুচ্ছ ব্যাপার। এমন দূষণ নিয়ে ক্রিকেটাররাও হয়তো চিন্তিত হবে।''


আরও পড়ুন-  মজা করেছিলাম, অনুষ্কাকে ছোট করতে চাইনি- ইউ টার্ন ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের!



এক মাসের দীর্ঘ সফরে এসেছে বাংলাদেশ দল। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ও দুটি টেস্ট খেলবে ভারত। প্রথম টি-২০ ৩ নভেম্বর আয়োজিত হবে দিল্লিতে। ৭ এবং ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-২০। প্রথম টেস্ট হবে ১৪ নভেম্বর থেকে। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর ইডেনে। দিল্লির এই অবস্থায় টি-২০ ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদিও ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, দিল্লির দূষণ ম্যাচ আয়োজনে বাধা হবে না। তিনি এর আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টের উদাহরণ টেনেছেন। প্রসঙ্গত, সেবার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও মাস্ক পরেই প্র্যাকটিসে নেমেছিলেন।