নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনার প্রকোপ কমাতে সারা দেশে চলছে লকডাউন। তার জেরে মাঠে খেলতে যেতে পারছেন না তিনি। এমনিতেই আর্থিক কষ্ট। তার উপর এই অবস্থা। জাতীয় স্তরের ফুটবলার হলেও কি আর তিনি সুনীল ছেত্রিদের মতো পারিশ্রমিক পান! আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবলার হয়েও ল্যাপটপ কেনার অর্থ নেই তাঁর। বাবা পেশায় রাজ মিস্ত্রি। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ দিন বাড়িতে বসে আছেন তিনি। ভারতীয় দলের ফুটবলার হয়েও অসহায় অবস্থা অ্যান্টনি স্যামুয়েলের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অ্যান্টনি ফোনে যোগাযোগ করেন বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের সঙ্গে। দিলীপ মণ্ডল নিজের আর্থিক আনুকূল্যে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। পাশাপাশি এই দুঃসময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। জাতীয় দলের দৃষ্টিহীন ফুটবলার জানান, তিনি এশিয়া কাপে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়া,  কোরিয়া, চিন, থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সাল থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেন। 


আরও পড়ুন— পেলে, মারাদোনা যাঁকে সেরা বলতেন, সেই কিংবদন্তি ফুটবলারের প্রাণ গেল চোরের হাতে


ভারতীয় দলের ফুটবলারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এই লকডাউনের সময় ঘরে বসে যাতে কিছু পয়সা রোজগার করে সংসারের হাল ধরতে পারেন সেই জন্য প্রয়োজন ল্যাপটপ। একটা ল্যাপটপ—এর জন্য অনেকের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। এরপর কোনওক্রমে বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের নম্বর পেয়ে ফোন করে সমস্ত কাথা জানান। এর পরই বিধায়ক ল্যাপটপ কিনে তুলে দেন ভারতীয় ফুটবলারের হাতে। ল্যাপটপ পেয়ে খুশি অ্যান্টনি স্যামুয়েল। আন্তর্জাতিক ফুটবলারকে অনুপ্রেরণা যোগাতে ছোট ছোট কয়েকশো শিশুদের হাতে, চকলেট, কেক, বিস্কুট, তুলে দেন বিধায়ক।