নিজস্ব প্রতিবেদন : ঈশপের গল্পের কচ্ছপের মতো ধীর অথচ স্থির দেখাল নিউ জিল্যান্ডকে। আর খরগোশের মতো দ্রুত গতিতে এগিয়েও রেস হারলেন কোহলিরা। একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ড কোহলিকে বুঝিয়ে দিল, সব সময় বড় রান করলেই ম্যাচ জেতা যায় না। অথচ এমনটা হওয়ার বাস্তবিক কোনও কারণ ছিল না। টি-২০ সিরিজে দুরমুশ হয়ে হৃদয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে নেমেছিলেন রস টেলররা। সেই চোটই যেন শক্তি জুগিয়ে গেল একদিনের সিরিজের শুরুতে। হ্যামিল্টনে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল কিউয়িরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে ব্যাটিং করে চার উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান করেছিল কোহলির ভারত। ওপেনিংয়ে পৃথ্বী শ ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল বড় রানের দেখা পাননি। তবুও ভারতীয় ইনিংস ধাক্কা খায়নি শ্রেয়স আইয়ার ও কে এল রাহুলের সৌজন্যে। শ্রেয়স ১০৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। একদিনের কেরিয়ারে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি অবশ্য দলের কাজে লাগল না। কে এল রাহুল স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। ৬৪ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেললেন এদিন। হ্যামিল্টনের এই উইকেটে ৩৪৭ বড় রান বলে ধরেছিলেন ক্রিকেট বিশারদরা। তবে রস টেলর সব হিসেব উল্টেপাল্টে দিলেন। ৮৪ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে তিনি শুধু ম্যাচই জেতালেন না, নুইয়ে পড়া দলকে যেন হাত ধরে ঝাঁকিয়ে দিলেন।


আরও পড়ুন-  বিদ্যুত্ গতিতে নিকোলসকে রান আউট করলেন কোহলি, দেখুন ভিডিয়ো


গুপটিল (৩২) ও নিকোলস (৭৮) শুরুটা ভাল করেছিলেন। এর পর শুরু হয় টেলরের দাপট। অধিনায়ক টম লাথামও ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। টেলরের ইনিংস যেন ভারতীয় বোলিং লাইন নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। সাড়ে তিনশো রান করেও যদি ম্যাচ হারতে হয় তা হলে বোলারদের নামের পরে প্রশ্ন চিহ্ন পড়াটা স্বাভাবিক! রান তাড়া করায় কোহলির দলের সুনাম ছিল। তবে এবার সেই সুনামে ভাগ বসাল নিউ জিল্যান্ড। সামনে লম্বা সিরিজ। মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, নবদীপ সাইনি, যুজবেন্দ্র চহাল ও শিবম দুবের মতো ক্রিকেটাররা এই ম্য়াচে খেলেননি। এদিন অবশ্য মণীশের বদলে কেদার যাদব খেলায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। টি-২০ ক্রিকেটে মণীশ দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। তাঁকে আচমকা কেন বসানো হল! উত্তর দিতে পারে একমাত্র টিম ম্যানেজমেন্ট।