অস্ট্রেলিয়া-৩৫৪/৬ (ওয়ার্নার ১৪৫,  স্মিথ ৭২ অপরাজিত, ক্লার্ক ৬০ অবসৃত। সামি ২/৮৩, অ্যারন ২/৯৫)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: দিনের শুরুটা হয়েছিল আবেগ দিয়ে, আর শেষটা হল প্রত্যাঘাত দিয়ে। দিনের মাঝে মনে হচ্ছিল হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মঞ্চ বাধার শুরু, দিনের শেষে মনে হল অন্যরকম কিছু আশার মঞ্চ বাধা শুরু। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনটা সম্পূর্ণ অস্ট্রেলিয়ার হতে হতেও হল না। ২ উইকেটে ২০৬ রানের অবস্থা থেকে অস্ট্রেলিয়া দিনের খেলা শেষ করল এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে ভারতীয়রা ডুবতে ডুবতে ভেসে রইল। ডেভিড ওয়ার্নার যেভাবে ঝড় তুলে উড়িয় দিয়েছিল ভারতকে, সেখান থেকে ম্যাচ ফিরল শেষবেলার দুটো উইকেট। দুটোই নিলেন মহম্মদ সামি। সকালে যাকে একেবারে তুলোধোনা করে ছেড় ছিলেন ওয়ার্নার।


নীরবতা পালন থেকে ১৩ তম খেলোয়াড় হিসাবে হিউজকে দলে রেখে চোখের জলে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের খেলা শুরু হওয়ার পর শুরু থেকই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ওয়ার্নার। কিন্তু অপর ওপেনার ক্রিস রজার্সকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন ইশান্ত। ওয়াটসনও জমতে পারলেন ক্রিজে। বরুণ অ্যারোনের বলে ওয়াটসন (১৪) ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৮৮ রানে ২ উইকেট। সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে সঙ্গি করে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে শুরু করেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার ব্যাটিংয়ে তখন হেডেনের ছায়া। অনেকসময় সেওয়াগের ব্যাটিং তাণ্ডবকেও মনে করালেন এই অসি ওপেনার।


আসন্ন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্রিকেটারের তালিকায় বিশেষজ্ঞরা সবার আগে রাখছেন এই ওয়ার্নারকে। আজ ফের তিনি বোঝালেন তার কারণ। ওয়ার্নার-ক্লার্কের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাকগ্রা, ইয়ান চ্যাপেল সিরিজ নিয়ে ভবিষ্যতবাণীটা খারাপ করেননি। পঞ্চম বোলারের অভাবে কোহলি তখন বিজয়কে দিয়ে বল করাচ্ছেন, আর ওয়ার্নার-ক্লার্করা তখন ক্লাব ক্রিকেটের মেজাজে ব্যাট করছেন। কিন্তু এরপরই ম্যাচের স্রোতের বিরুদ্ধে হঠাত্‍ পায়ের পুরনো চোটে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছাড়লেন ক্লার্করা। অধিনায়কের বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়ার সৌভাগ্যটাও নিয়ে পালাল। কর্ণ শর্মার বলে একেবারে বল বাউন্ডারি পার করার লোভে উইকেট ছুঁড়ে এলেন ওয়ার্নার (১৪৫)। মিচেল মার্শ (৪১)ও শুরুটা ভাল করে অ্যারনের বলে আউট হলেন। খেলা একেবারে শেষের দুই ওভারে মহম্মদ সামি জ্বলে উঠলেন। সামির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন নাইটওয়াচম্যান ন্যাথান লিঁয়, তারপরের ওভারে আউট ব্র্যাড হাডিন (০)।


আগামিকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৪০০ রানের মধ্যে বেধে রাখতে পারলে হঠাত্ করে সুযোগ এসে যাবে ভারতীয়দের কাছে। দ্বিতীয় দিনে অ্যাডিলেডের উইকেট ব্যাটসম্যানদের কাছে অনেক সহজ হয়ে যায়। ভারত আবার এই ম্যাচে ৬ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে।


ভারতীয় একাদশ- শিখর ধাওয়ান, মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মা, ঋদ্ধিমান সাহা, করণ শর্মা, মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, বরুন অ্যারন।