নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনি অন্যরকম। একটু নন, বেশ অনেকটাই অন্যরকম। মাঠে চিত্কার করবেন, বিপক্ষকে রক্তচক্ষু দেখাবেন, ২২ গজ থেকে স্ত্রীর উদ্দেশে চুমু ছুড়ে দেবেন। নিজের শৈলীতেই চলবেন। সমালোচনা হলেও নিজেকে বদলাবেন না। বরং তিনি ক্রিকেটকে ১১০ শতাংশ-ই দিয়ে যাবেন, এটাই তাঁর পণ। বিরাট কোহলি আদতেই একটি চরিত্র। ইতিহাস বলবে, তিনি ক্রিকেটের কাছে ঋণী থাকবেন না ক্রিকেট তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। না কি একে অপরের পরিপূরক হয়েই রয়ে যাবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেনে নিন- সিডনিতে সেঞ্চুরি করলেন পূজারা


শুধু মাইলস্টোন গড়াই নয়, বিরাট ক্রিকেট মাঠের অবিসংবাদিত নায়ক হয়ে উঠছেন তাঁর কর্মে। সিডনি টেস্টের কথাই ধরে নিন। ভারত ২-১-এ এগিয়ে। এই ম্যাচ ড্র করলেই সিরিজ জয়। আর জিতলে অজিদের ৩-১-এ টেস্ট হারানোর রূপকথা লেখা হয়ে যাবে। এরই মধ্যে আবার অনন্য হয়ে রয়ে গেলেন বিরাট। পিঙ্ক টেস্টে সিডনির গোলাপি সমুদ্রে যে ব্যাটন হাতে মাঠে নেমেছিলেন বিরাট,তার রং-টাই কি না বদলে গেল। সাদা গ্রিপ বদলে পিঙ্ক টেস্টে গোলাপি গ্রিপের ব্যাট নিয়ে নামলেন বিরাট। রংয়ের বদল ছিল গ্লাভসেও।  সেটাও ছিল গোলাপি। যার সোজাসুজি অর্থ করলে দাঁড়ায়, মুখে নয় ব্যাটে কথা বললেন বিরাট। স্তন ক্যানসারের সচেতনতায় সমর্থন জানালেন ভারত অধিনায়ক।


জেনে নেওয়া যাক কী এই পিঙ্ক টেস্ট?


মূলত স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে গোলাপি রং-কেই বেছে নিয়েছে গোটা বিশ্ব। এমনিতে গোলাপি রং-কে বলা হয়, ইউনিভার্সাল কালার অব লাভ। অর্থাত্, প্রেমের বিশ্বজনীন রং-ই হল গোলাপি। এতে ভালবাসা আছে, আদর আছে, প্রেম আছে, আছে আকর্ষণও।  এই গোলাপি রং-কে সারা বিশ্বে  ক্যানসারের সচেতনতার কাজে ব্যবহার করছে ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনও। অজি কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রাই মূলত এই সংস্থার পৃষ্ঠপোষক। ম্যাকগ্রার স্ত্রী জিন ম্যাকগ্রা ক্যানসারে মারা যান। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে ক্যানসার সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েছে ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন। আর সেই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্যানসার সচেতনতাকে আরও তরান্বিত করতে উদ্যোগী হয়েছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডও। সেই মতো অজি ক্রিকেট বোর্ড ক্যানসার সচেতনতার জন্য ক্রিকেটকেও মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর সেকারণেই প্রতিবছর জানুয়ারিতে সিডনিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক টেস্টকে তারা ‘পিঙ্ক টেস্ট’ নামের আখ্যা দিয়েছে।