নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌরাষ্ট্রে ঝড়বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা ছিল। ঝড় উঠল, কিন্তু হিটম্যানের ঝড়। আর সেই ঝড়ে টিটোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বাংলাদেশ। ভারতের সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহরা। সৌরাষ্ট্রের মাঠে সেই রান তাড়া করতে নেমে কখন মনেই হয়নি ভারতে এই ম্যাচ হারতে পারে না। সিরিজের দ্বিতীয় টিটোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশে টার্গেট ৮ উইকেট হাতে রেখে ১৫.৪ ওভারেই তুলে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। চলতি টিটোয়েন্টি সিরিজে সমতায় দেশকে সমতায় ফেরালেন অধিনায়ক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। স্কোরটা মনে হচ্ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০-র কাছাকাছি থাকতে পারে। প্রথম ৬ ওভারেই ৫০ তুলে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। কিন্তু হারাকিরি করে ফেললেন ওপেনার লিটন দাস। ৬০ রানে পড়ল প্রথম উইকেট। পাড়া ক্রিকেটেও এমনভাবে আউট হন না ব্যাটসম্যানরা। তার আগে দু-দুবার জীবন পেয়েছিলেন লিটন। সহজ স্টাম্পিং ফস্কেছেন ঋষভ পন্থ। আরও একবার তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সঞ্জু স্যামসনকে খেলানোর দাবি তুলে দিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপর লিটনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু জীবনদান কাজে লাগাতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। লিটনের আউট হওয়ার পর কমে যায় বাংলাদেশের রানের গতি। প্রথম ১০ ওভারে উঠল ৭৮। শেষ ১০ ওভারে এল মাত্র ৭৫ রান। মোহাম্মদ নইম, মুশফিকুর রহমান, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহরা কেউই বড় স্কোর করতে পারেননি। একজনকে ক্রিজে থেকে বড় রান করার দরকার ছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১৫৩। 



শিশিরভেজা মাঠে টি-২০ ক্রিকেটে ১৫৩ রান বড় টার্গেট নয়। সেটা আরও সহজ করে দিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মোসাদ্দেকের একটা ওভারেই ছক্কার হ্যাটট্রিক করলেন হিটম্যান। ১৯৭ স্ট্রাইক রেট রেখে ৪৩ বলে রোহিত ফিরলেন ৮৫ রানে। যা ফর্মে ছিলেন টিটোয়েন্টি আর একটা শতরান হয়ে যেত। অন্যদিকে তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন শিখর ধবন। ২৭ বলে তাঁর রান ৩১। রোহিত ওমন ব্যাটিংয়ের পর আর কারও কিছু করার থাকে না। হলও তাই। শ্রেয়স আইয়ার ও কেএল রাহুল ধীরেসুস্থে ম্যাচ বের করে দিলেন। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত। তখন বেঁচে ২৬টি বল।


আরও পড়ুন- বাচ্চাদের মতো ভুল করলেন ঋষভ পন্থ! সঞ্জু স্যামসনকে কিপিং করানোর দাবি উঠল