স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


আজ আরও একটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। টি ২০। বিশ্বকাপ। আর মঞ্চ ইডেন! সত্যিই এত ভালো চিত্রনাট্য বাস্তবেও লেখা কতটা কঠিন। এরকম এক মহারণের আগে মনে পড়ছে এমন পাঁচটা স্মৃতি। যেগুলো ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই হয় না! সেগুলো টি২০-রই হতে হবে এমনও নয়। বেশিটাই একদিনের ম্যাচে।


১) মিঞাদাঁদের লাফ - ১৯৯২-এর বিশ্বকাপের ঘটনা। পাকিস্তান ব্যাট করছিল। তখন ভারতের উইকেটকিপার কিরণ মোরে। তাঁর সামনে ব্যাট করছিলেন জাভেদ মিঞাদাঁদ। মোরে পিছন থেকে কিছু বলছিলেন। মিঞাদাঁদ এমনভাবে ব্যাঙের মতো তিন-চারবার লাফিয়েছিলেন ব্যাট দুহাতে নিয়ে, কোনও ক্রিকেটপ্রেমী ভুলতে পারবেন না কোনওদিন।



২) জাদেজার মার ওয়াকারকে - ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপ। ওয়াকার ইউনিস বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। তাঁকে মারা চাট্টিখানি কথা নয়। সেই ওয়াকারকে এক ওভারে ওয়াকার ইউনিসকে খুব পিটিয়েছিলেন অজয় জাদেজা। মাত্র ২৫ বলে ৪৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন অজয়। ওয়াকার দিয়েছিলেন ১০ ওভারে ৬৭ রান। সে ম্যাচও হয়েছিল মার্চ মাসেই। তারিখটা ছিল ৯ মার্চ।



৩) সচিনের মার শোয়েব কে - ২০০৩ বিশ্বকাপ। সেটাও মার্চ মাস। তারিখটা ছিল ১ মার্চ। সেঞ্চুরিয়ানে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর খুব মার মেরেছিলেন শোয়েব আখতারকে। অল্প সময়ে বীরুও। সচিন সেই ম্যাচ মাত্র ৭৫ বলে ৯৮ রান করেছিলেন। আর শোয়েবকে দিতে হয়েছিল ১০ ওভারে ৭২ রান!



৪) যোগিন্দর শর্মার বলে মিসবা আউট - ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানো বলে কথা। কখনও ভোলা যায়! অথচ, সেই ম্যাচ প্রায় ভারতের হাত থেকে বের করে নিয়েছিলেন মিসবা উল হক। কিন্তু যোগিন্দর শর্মার বলে আউট হয়ে ফিরে যান মিসবা। আর সেই ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি ভারতের।



৫) ইডেনে শোয়েব ধামাক - অডেন গার্ডেনে টেস্ট। শোয়েব আখতার তখন সদ্য এসেছেন দলে। পাকিস্তান তাঁকে প্রোমোট করা শুরু করেছে। সেই ম্যাচে এই ইডেনেই পরপর দু বলে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর এবং রাহুল দ্রাবিড়কে! টেস্ট ক্রিকেটে দু বলে সেরা ফর্মে থাকা সচিন, রাহুলকে আউট করেছিলেন শোয়েব। ইডেনের গর্জন সেদিন থেমে গিয়েছিল একদম।



এর বাইরেও রয়েছে অনেক অনেক ঘটনা। চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানের জিতে যাওয়া। প্রসাদের রেগে যাওয়া।