ওয়েব ডেস্ক: আভাস মিলেছিল শুক্রবারই। শনিবার বেলা গড়াতেই মিলে গেল অনুমান। সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম একাদশ থেকে বাদ গেলেন বঙ্গসন্তান ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর জায়গায় দলে এলেন পার্থিব প্যাটেল। এবারও সুযোগ হল না রাহানের। তাঁকে মাঠের বাইরেই বসতে হল। বরং আরও একটা সুযোগ পেলেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। কেপটাউনের মতোই সেঞ্চুরিয়নে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক দুপ্লেসিস। টসে জেতার পর বিরাট কোহলি অবশ্য দাবি করেছেন, ঋদ্ধিমান সাহার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকায় তাঁকে বসানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ম্যাচে বিশ্রী শট খেলে আউট হয়েছিলেন শিখর ধবন। তাঁকে বসিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে কে এল রাহুলকে। মুরলী বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিং করবেন তিনি। গত ম্যাচে দুই ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। জোরে বলের সামনে রোহিতের দুর্বলতা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। তখনই আওয়াজ রাহানেকে ফেরানোর আওয়াজ উঠেছিল। টেকনিকে রোহিত শর্মার চেয়ে অনেক এগিয়ে অজিঙ্ক রাহানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর শতরানও রয়েছে। কিন্তু দল নির্বাচনে একদিনের ফর্মকেই প্রাধান্য দিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পাশাপাশি গত ম্যাচের সেরা বোলার ভুবনেশ্বর কুমারকে বসিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ইশান্ত শর্মাকে। সেঞ্চুরিয়নের পিচে বলে তেমন মুভমেন্ট হবে না, সে কথা ভেবেই ভুবনেশ্বরকে বসানো হয়েছে।  



ব্যাটিংয়ের জোর বাড়াতে দলে এলেন পার্থিব প্যাটেল। কিপিংয়ে বিশ্বসেরা ঋদ্ধিমান সাহা গত ম্যাচেও ১০টা ক্যাচ নিয়েছেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্থিব প্যাটেলের ব্যাটিংও আহামরি নয়। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেকের পর টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৩.৭৭। একটাও শতরান নেই। অর্ধ শতরান ৫টি। ২৪ ম্যাচে ৩৪টি ইনিংসে করেছেন ৮৭৮ রান। অন্যদিকে ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিং গড় ৩০.৬৩। শতরান রয়েছে ৩টি। অর্ধ শতরান ৫টি। ৩২ ম্যাচে ৪৬ ইনিংসে করেছেন ১,১৬৪ রান। তাহলে কোন যুক্তিতে পার্থিব প্যাটেল ঋদ্ধিমানের চেয়ে ভাল ব্যাটসম্যান হলেন? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি আরও একটা প্রশ্ন উঠছে, ২০০২ সালে অভিষেক হওয়ার পর আর কত ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হবে পার্থিব প্যাটেলকে। কী জন্য ১৫ বছর ধরে সুযোগের পর সুযোগ পেয়ে চলেছেন পার্থিব প্যাটেল? তবে বিরাট জানিয়েছেন, ঋদ্ধিমান সাহার চোট। সেজন্যই সুযোগ দেওয়া হয়েছে পার্থিকবে।