নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষবেলায় জেগে উঠল টিম ইন্ডিয়া। ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৩ রানে হারাল বিরাটবাহিনী। যদিও আগেই ২টি ম্যাচ জিতে সিরিজে কব্জা করেছেন ফাফ ডু প্লেসি। তবে তৃতীয় ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করলেন কোহলিরা। ১৭৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের কোমর ভেঙেছেন বাংলার মহম্মদ শামি।  



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ২৪১। শুক্রবার পিচ বিতর্কের পর শনিবার খেলা হবে কিনা সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে এদিন মাঠ ভিজে থাকায় দেরি করে খেলা শুরু হয়। শুরুটা ভালই করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। তবে হাসিম আমলার আউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ১২৪ রানে ২ উইকেট থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বি ডেভিলিয়ার্স থেকে ফাফ ডু প্লেসি- কেউই ভারতের পেস আক্রমণের সামনে টিকতে পারেননি। ১৭৭ রানেই বাকি ৮টি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। 



দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সই এখন বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল পিচ। এই পিচে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন ফাফ ডু প্লেসিরা। তবে ভারতীয় পেস ব্যাটারির সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকাই। 


টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ভারত তোলে ১৮৭ রান। কঠিন পিচে অর্ধ শতরান করেন বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৪ রানে অলআউট করেন বোলাররা। ৫ উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরাহ। দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলি, রাহানে ও ভুবনেশ্বরের লড়াকু ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ২৪৭ রান তোলে ভারত। উল্লেখ্য, ওয়ান্ডারার্সে এখনও পর্যন্ত টেস্ট হারেনি টিম ইন্ডিয়া। এনিয়ে দুটি টেস্ট জিতল তারা। 


আরও পড়ুন- 'কোটিপতি' হলেন অনুর্ধ্ব ১৯ দলের ৩ ক্রিকেটার, সৌজন্যে আইপিএল


ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচও জেতার জায়গায় ছিল ভারত। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা একটু ধৈর্য দেখালে ২৫ বছর বাদে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার সিরিজ মুঠোয় আসত টিম ইন্ডিয়ার।


আরও পড়ুন- তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেল কলকাতা নাইট রাইডার্সে