নিজস্ব প্রতিবেদন : যে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপের অপরাজিত দৌড় থেমেছিল ভারতের, সেই বার্মিংহামেই বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। এজবাস্টনে টাইগার শিকার বিরাটদের। অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিলেতে বিশ্বকাপের শেষ চারের টিকিট কনফার্ম করল কোহলি অ্যান্ড কোম্পানি। রোহিতের সেঞ্চুরি আর বল হাতে বুমরাহ-হার্দিকের ক্যারিশমায় কুপোকাত্ বেঙ্গল টাইগাররা। কাজে এল না মুস্তাফিজুর ও সাকিবের লড়াই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের ৩১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ও সৌম্য। তামিম ইকবালকে ২২ রানে বোল্ড করে বাংলাদেশি শিবিরে প্রথম ভাঙন ধরান মহম্মদ শামি। সৌম্যকে ৩৩ রানে ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়া। এরপর মুশফিকুর সাকিব জুটি বাংলাদেশকে টানতে থাকেন। মুশফিকুর ২৪ এবং লিটন দাস ২২ রানে ফিরে যান। দ্রুত ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেনও। কিন্তু ৬৬ রানে সাকিব ফিরে যেতেই বাংলাদেশের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেছে বলে ধরে নিলেও শেষ চেষ্টা করেন সইফউদ্দিন ও সাব্বির। ৬৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন দুজনে। কিন্তু ৩৬ রানে সাব্বিরকে ফেরালেন জশপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন সইফউদ্দিন। কিন্তু বুমরার দুরন্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ভারতের হয়ে জশপ্রীত বুমরাহ ৪টি এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া ৩টি উইকেট নেন।



মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রবিবার এজবাস্টনে রুটদের কাছে হারের পর ভারতীয় দলে প্রথম একাদশে দু'টি পরিবর্তন হয়। বাদ পড়েন কেদার যাদব ও কুলদীপ যাদব। পরিবর্তে দলে এলেন ভুবনেশ্বর কুমার ও দীনেশ কার্তিক। এজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ঠিক যেভাবে শুরু করেছিলেন, এদিন এজবাস্টনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই আক্রমণের রাস্তাই বেছে নেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুল। ওপেনিং জুটিতে ১৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রোহিত-রাহুল। ৯ রানের মাথায় জীবনদান পান রোহিত শর্মা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ মিস করেন তামিম ইকবাল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শতরান করেন রোহিত শর্মা।


একদিনের কেরিয়ারে ২৬ তম সেঞ্চুরিটি এদিন করলেন রোহিত শর্মা। চলতি বিশ্বকাপে চার নম্বর সেঞ্চুরি হয়ে গেল হিটম্যানের। দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ইংল্যান্ডের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও শতরান করলেন রোহিত।এক বিশ্বকাপে চারটি সেঞ্চুরি করে সাঙ্গাকারাকে ছুঁলেন রোহিত। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে চারটি শতরান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গাকারা। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক বিশ্বকাপে চারটি সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন রোহিত শর্মা। এক বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এদিন সৌরভকে টপকে গেলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেই ১০৪ রানে আউট হন হিটম্যান।



রোহিত সেঞ্চুরি করলেও আর এক ওপেনার রাহুল সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে এলেন। ৭৭ রানে ফিরলেন রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি আর হার্দিক পাণ্ডিয়াকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। বিরাট ২৬ আর হার্দিক শূন্য রানে ফিরে যান। এরপর অবশ্য ঋষভ পন্থ ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু ৪১বলে ৪৮ রানে সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হলেন পন্থ। সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারলেন না দীনেশ কার্তিক। শেষ দিকে ফের স্লো ব্যাটিং মহেন্দ্র সিং ধোনির। এত সমালোচনার পরেও এদিন চেনা মেজাজে পাওয়া গেল না মাহিকে। ৩৫ রানে ফিরলেন এমএসডি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তোলে ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ৫টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। 


আরও পড়ুন - ICC World Cup 2019: ওয়ার্নারকে টপকে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান রোহিতের!