অস্ট্রেলিয়া ২৬৩ ও ১১৩
ভারত ২৬২ ও ১১৫/৪
ভারত জিতল ৬ উইকেটে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) ভারত ২-০ এগিয়ে গেল (IND vs AUS)। নাগপুরে প্রথম ম্যাচে ভারত ইনিংস ও ১৩২ রানে জিতেছিল। এবার দেশের রাজধানীতেও জয়ধ্বজা ওড়াল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা অ্যান্ড (Rohit Sharma) কোং দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে (Arun Jaitley Stadium in Delhi) প্যাট কামিন্সদের (Pat Cummins) হারাল ৬ উইকেটে। এবারও ওই আড়াই দিনে খেলা শেষ। বারো দিন পর ফের মাঠে নামবে দুই দল। আগামী পয়লা মার্চ থেকে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট। এর সঙ্গেই ব্যাক-টু-ব্যাক তিনবার এই ট্রফি ধরে রাখল টিম ইন্ডিয়া। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin ) ও রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)! অস্ট্রেলিয়ানদের প্রশ্নপত্রে এই দু'টি প্রশ্ন আসবেই আসবে, এবং অস্ট্রেলিয়া উত্তর না দিয়ে চলে আসবে। এ যেন দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফের একবার ভারতের দুই 'রবি'র তেজে পুড়ে গেল বিশ্বের দুই নম্বর টেস্ট দল।



মহম্মদ শামির চার উইকেটের দাপটের সঙ্গেই জুড়েছিল আর অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার মিলিত হাফ ডজন উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থামে ২৬৩ রানে। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৬২ রানে। এক রানে পিছিয়ে মাঠ ছেড়েছিল রোহিত অ্যান্ড কোং। অস্ট্রেলিয়ার স্পিন অস্ত্র ন্যাথাল লিয়ঁর ঘূর্ণিতেই বেসামাল হয়ে যান ভারতের ব্যাটিং রত্নরা। দিল্লিতে বুক চিতিয়ে একা লড়েন অক্ষর প্যাটেল। প্রথম দিনের অপরাজিত দুই ওপেনার রোহিত (১৩) ও রাহুল (৪) দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে রাহুল মাত্র ১৭ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। লিঁয়র বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। রাহুল যেন পতনের সূত্রধর ছিলেন। রাহুল ফেরার পরে পরেই রোহিত (৩২) ও পূজারা (০) ফিরে যান। প্রথম তিন উইকেটই নিয়ে নেন লিয়ঁ। ৫৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে টিম ইন্ডিয়া। চারে নেমে বিরাট কোহলি অনায়াস দক্ষতায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটি শুরু করে দিয়ে, দারুণ ইনিংস খেলার শুভারম্ভ করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে ৪৪ রানে কোহলিকে ফিরতে হয়। ম্যাথিউ কুনেম্যানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান! যদিও আউট নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। কোহলি ফেরার পর শ্রেয়স আইয়ার (৪) ও রবীন্দ্র জাদেজা (২৬) খানিকক্ষণ ক্রিজে কাটিয়ে ফিরে যান। নাগপুরে অভিষেককারী উইকেটকিপার-ব্যাটার কেএস ভারতেরও অবদান মাত্র ছয়। তবে আটা নামা অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন লড়াই করেন। তাঁদের ১১৪ রানের যুগলবন্দিতে ভারতের রান অস্ট্রেলিয়ার গায়ে গায়ে আসতে পেরেছে। অক্ষরের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান। অশ্বিন করেন ৩৭ রান। তাঁরা ফেরার পর মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজের ব্যাটিং নিয়ে বলার কিছু ছিল না। লিয়ঁর পাঁচ উইকেটের সঙ্গেই উজ্জ্বল কুনেম্যান ও টড মারফি। লিয়ঁ প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে ১০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন।


আরও পড়ুনVirat Kohli | BGT 2023: সচিন-পন্টিংদের নাম মুছে ঘরের মাঠে কোহলির অনন্য আন্তর্জাতিক মাইলস্টোন!


অক্ষর-অশ্বিন অষ্টম ভারতীয় জুটি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরানের পার্টনারশিপ গড়লেন টেস্টে। অক্ষর-অশ্বিন অষ্টম উইকেট পার্টনারশিপে ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করলেন। হরভজন সিং ও সচিন তেন্ডুলকর ২০০৮ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২৯ রান যোগ করেছিলেন। যা আজও সর্বোচ্চ। কারশন ঘাউড়ি ও সয়ৈদ কিরমানি ১৯৭৯ সালে ওয়াংখেড়েতে অজিদের বিরুদ্ধে ১২৭ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। ২০০৮ সালে হরভজন সিং ও অনিল কুম্বলে ১০৭ রান করেছিলেন অ্যাডিলেড ওভালে। দ্বিতীয় দিনের শেষে এক রানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া উসমান খোয়াজা ও ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিল। তবে খোয়াজা ১৩ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান। দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন হেড (৩৯) ও মার্নাস লাবুশানে (১৬)। অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলেছিল।হেড ও লাবুশানে এদিন বেশিদূর এগোতে পারেননি। হেড ৪৩ রান করে অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটকিপার কেএস ভারতের হাতে। অন্যদিকে লাবুশানে ফেরেন ৩৫ রান করে। জাদেজা তাঁকে বোল্ড করে দেন। এরপর শুধুই জাদেজার শো। একাই তুলে নিলেন সাত উইকেট। চার থেকে এগারো নম্বরে নামা ব্যাটারদের স্কোরের দিকে তাকালে মনে হবে যেন কোনও মোবাইল নম্বর- ৯২০৭০৮৩০০! অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেল মাত্র ১১৩ রানে। ভারতের জয়ের জন্য় দরকার ছিল ১১৫।



রোহিত-রাহুল রান তাড়া করতে নেমেছিলেন। মাত্র তিন বলে খেলে এক রান করে ফেরেন রাহুল। ন্যাথাল লিয়ঁর বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহুল। রোহিতের ডেপুটি আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন চেতেশ্বর পূজারা। তবে রান নেওয়ার সময় ভারত অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায় তাঁর। রোহিত ২০ বলে ৩১ রান করে ফিরে যেতে বাধ্য হন। চারে আসা কোহলি ৩১ বলে ২০ রান করে সেট হচ্ছিলেন। কিন্তু ন্যাথান লিয়ঁর ঢুকে আসা বল বুঝতে না পেরে স্টাম্প হয়ে যান তিনি। কোহলি যখন ফেরেন তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান। ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে যান। ভারতের চাপ কিছুটা হলেও বাড়ছিল। কিন্তু ক্রিজে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকা চেতেশ্বর পূজারা ও  এই সিরিজে অভিষেককারী কেএস ভারত বাকিটা বুঝে নেন। পূজারা ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন। কেরিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নেমে চার মেরে দলকে জেতান তিনি। অন্য়দিকে ভারত ২২ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)