নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালেও ছবিটা একই থেকে গেল। ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণেও চিত্রপট বদলালো না। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে জয় অধরাই থেকে গেল পাকিস্তানের। পাকিস্তানকে রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে ৭-০ করল টিম ইন্ডিয়া। সাত বারের সাক্ষাতে সাতবারই জয় ছিনিয়ে নিল মেন ইন ব্লুজরা। হিটম্যানের সেঞ্চুরি। সঙ্গে বিরাট কোহলি-কেএল রাহুলের হাফ সেঞ্চুরি। আর বল হাতে কুলদীপ-হার্দিক-শঙ্করের দাপটে ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাকিস্তানকে হারাল ভারত।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবাসরীয় ম্যাঞ্চেস্টারে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আর্দ্র আবহাওয়া আমির-রিয়াজদের দারুন সামাল দিলেন রোহিত শর্মা ও তাঁর নতুন ওপেনিং পার্টনার কেএল রাহুল। আঙুলের চোটের কারণে না খেলা শিখর ধাওয়ানের পরিবর্তে দলে এলেন বিজয় শঙ্কর। ওপেনিং জুটিতে ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ। ৭৮ বলে ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। এরপর রোহিতের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অনবদ্য শতরান করেন রোহিত শর্মা। একদিনের কেরিয়ারে ২৪ তম শতরান করেন রোহিত। ১১৩ বলে ১৪০ রান করে আউট হলেন হিটম্যান। ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো রোহিতের ইনিংস। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করলেন রোহিত। রোহিত শর্মা আউট হলেও বিরাট কোহলি ভারতের রানকে টানতে থাকেন। এদিকে ১৯ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান হার্দিক পাণ্ডিয়া। ধোনি করেন মাত্র ১ রান। ৪৬.৪ ওভার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে অবশ্য একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম এগারো হাজার রানের মালিক হয়ে যান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বৃষ্টি নামার আগেই তিনশোর গণ্ডি টপকে যায় ভারত। বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। ৬৫ বলে ৭৭ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তোলে ভারত। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান ভারতের।



৩৩৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত বল করতে করতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু ভুবির পরিবর্ত হিসেবে বল করতে আসেন বিজয় শঙ্কর। বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে খেলতে নামা বিজয় শঙ্কর প্রথম বলেই তুলে নিলেন পাক ওপেনার ইমাম উল হককে। প্রথম ভারতীয় এবং বিশ্বের নবম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেকে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। এরপর অবশ্য ফাকার জামান ও বাবর আজম দ্বিতীয় উইকেটে একশো রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। ৪৮ রানে বোল্ড হন বাবর আজম। ফাকার জামানকেও ৬২ রানে ফেরালেন কুলদীপ। এরপর মহম্মদ হাফিজ(৯) আর শোয়েব মালিককে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরালেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে(১২) ফেরালেন ফের বিজয় শঙ্করই। ৩৫ ওভার খেলার পরই ফের বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকে। তখন পাকিস্তানের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। এর পর ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়ম প্রয়োগ করা হয়। সেখানে ৪০ ওভারে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০২। খেলা কমে আসে ৪০ ওভারে। ম্যাচ জেতার জন্য তখন ৩০ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৩৬ রান। যা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের সামনে। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে পাকিস্তান  ৬ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে।   ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৮৯ রানে জিতল টিম ইন্ডিয়া   


আরও পড়ুন - ICC World Cup 2019: ম্যাঞ্চেস্টারে ভারত-পাকিস্তান মহারণে রেকর্ডের ছড়াছড়ি