Sunil Chhetri: সুনীলের গলায় বন্দে মাতরম! কান্তিরাভার গ্যালারি জুড়ে আবেগের মহা বিস্ফোরণ, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
টাইব্রেকারে সুনীল গোলেই ছিল জয়ের হাতছানি। শট নিতে যাওয়ার আগে টেলিভিশনের ক্যামেরা ঘুরে গিয়েছিল ভারতীয় দলের অধিনায়কের বাবা-মা ও স্ত্রী সোনমের দিকে। তিনজনেই ঈশ্বরকে ডাকছিলেন। সেই ডাকে যে ফুটবল দেবতা এমন ভাবে সাড়া দেবে অনেকেই ভাবতে পারেননি। কারণ টাইব্রেকারে শট নিতে গিয়ে বাইরে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) কান্তিরাভার (Sree Kanteerava Stadium) গ্যালারিতে দর্শকসংখ্যা কখনওই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের (Yvbharati Stadium) সঙ্গে তুলনীয় নয়। আবেগের বিষয়েও হয়তো তারা পিছিয়েই থাকবেন কলকাতার (Kolkata) ভক্তদের তুলনায়। কিন্তু ভারত (Indian Football Team) সমতায় ফেরার পর যেন আকাশ ফেটে পড়ছিল দর্শকদের উচ্ছাসে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ের পর স্টেডিয়ামের সকলের একসঙ্গে গেয়ে ওঠা বন্দে মাতরমের (Vande Mataram) সুর ছিল স্টেডিয়ামের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। দর্শকদের সাথে গলা মিলিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) ও ভারতীয় দলের সকল সদস্য। সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে একেবারেই সময় লাগেনি।
১২২ মিনিটেও ফলাফল জানা যায়নি। স্বভাবতই গোটা দেশের নজর চলে গিয়েছিল সেই ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির পঞ্জাব তনয়ের দিকে। সেমি ফাইনালে লেবাননের (Lebanon) বিরুদ্ধে তো এমন পরিস্থিতি থেকেই দলকে ফাইনালে তুলে দিয়েছিলেন। তাঁর গ্লাভস ভারতের মান বাঁচিয়েছিল। টাইব্রেকারে দুরন্ত কয়েকটা সেভ করে কান্তিরাভার কাণ্ডারি হয়ে উঠেছিলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু (Gurpreet Singh Sandhu)। মেগা ফাইনালে সেই কান্তিরাভার ২৬, ৩৮০ জন ফুটবলপ্রেমীদের সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। গোটা ভারতের সেই আশা পূরণ করলেন সুনীল ও অভিজ্ঞ গোলকিপার গুরপ্রীত। চাপে চুপসে না গিয়ে বরং পালটা লড়াই। স্বভাবতই ৫-৪ ব্যবধানে কুয়েতকে (Kuwait) হারিয়ে ২০২১ সালের পর ফের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF Championship Final 2023) নাম লেখাল ভারতীয় ফুটবল ফল (Indian Football Team)। গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে শোনা গেল 'বন্দে মাতরম' ধ্বনি।
টাইব্রেকারে সুনীল গোলেই ছিল জয়ের হাতছানি। শট নিতে যাওয়ার আগে টেলিভিশনের ক্যামেরা ঘুরে গিয়েছিল ভারতীয় দলের অধিনায়কের বাবা-মা ও স্ত্রী সোনমের দিকে। তিনজনেই ঈশ্বরকে ডাকছিলেন। সেই ডাকে যে ফুটবল দেবতা এমন ভাবে সাড়া দেবে অনেকেই ভাবতে পারেননি। কারণ টাইব্রেকারে শট নিতে গিয়ে বাইরে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ। স্বভাবতই গ্যাল্যারি জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল ...ইন্ডিয়া...ইন্ডিয়া চিৎকার। সন্দেশ জিঙ্ঘান ও ম্যাচের গোলদাতা লালরিনজুয়ালা ছাংতে। ফলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত। তবে ভারতের জন্য আরও লড়াই অপেক্ষা করছিল। কারণ উদান্তা সিং মিস করতেই খেলায় ফিরে আসে কুয়েত। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। 'সাডেন ডেথ'-এ গুরপ্রীত সেভ করতেই রেকর্ড গড়ে নবমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিল 'ব্ল্যু টাইগার্স'।
ফুটবল ইতিহাস অনুসারে এই ফাইনালের আগে কুয়েতের বিরুদ্ধে চারটি ম্যাচ খেলে ভারত মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছিল। কুয়েত জিতেছিল দু'বার। ২০১০ সালে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৯-১ ব্যবধানে ভারতকে হারিয়েছিল এই পশ্চিম এশীয় দেশ। এর আগে ১৯৭৮ সালের এশিয়ান গেমসে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল কুয়েত। তবে ২০০৪ সালে ভারত তাদের হারায় ৩-২ ব্যবধানে। তবে এখন ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই কুয়েতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল ভারত। কিন্তু নিজেদের ভুলেই শেষ পর্যন্ত সেই জয় পাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে এই পরিসংখ্যান ২-২ করার সুযোগ ছিল সুনীল ছেত্রীদের সামনে। সেই পরীক্ষায় লেটার মার্কস নিয়ে পাস করার সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল টিম ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে বিপক্ষের বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধ তুলে সর্বাধিক নয় বার এই ট্রফি জিতে নিল 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড। এর আগে ২০২১ সালে নেপালকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল সুনীল ছেত্রীর দল। আর এবার ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকেও দাপট দেখাল 'ব্ল্যু টাইগার্স'। তাই গ্যালারি জুড়ে বন্দে মাতরম ধ্বনি শোনা গেল।