কোয়ারান্টাইনে বুকিদের টার্গেটে ক্রিকেটাররা; আইসিসি-র সতর্কবার্তার জবাব দিল BCCI
ক্রিকেট বন্ধ। তাই ক্রিকেটাররা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। করোনার প্রকোপ মেটার পর ক্রিকেট শুরু হলে ক্রিকেটাররা অর্থ উপার্জনের জন্য জুয়াড়িদের ফাঁদে পা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে আইসিসি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বের সব ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের ক্রিকেটাররা এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। আর এই সময়টাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারে জুয়াড়িরা। এমনই আশঙ্কা করছে আইসিসি। আইসিসি-র এই সতর্কবার্তার জবাব দিয়ে দিল বিসিসিআই।
ক্রিকেট বন্ধ। তাই ক্রিকেটাররা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। করোনার প্রকোপ মেটার পর ক্রিকেট শুরু হলে ক্রিকেটাররা অর্থ উপার্জনের জন্য জুয়াড়িদের ফাঁদে পা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেটাররা জুয়াড়িদের থেকে অনেক বেশি সতর্ক বলেই জানিয়েছেন বোর্ডের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের প্রধান অজিত সিং।
আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, দুর্নীতির জগতে যারা আগে থেকে পরিচিত তারা এই সময়টাতে হঠাত করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে আমরা দেখছি। ওরা মনে হয় এই সময়টাকে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে। এই অলস সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপস্থিত থাকছে ক্রিকেটাররা। এর ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালাতে পারে জুয়াড়িরা। আমরা সেদিকে কড়া নজর রেখেছি। তবে ক্রিকেটারদেরও এই কঠিন সময় সজাগ থাকতে হবে। সব ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের সচেতন থাকতে হবে এই সময়।
সংবাদসংস্থা PTI-কে এক সাক্ষাত্কারে বিসিসিআই-এর দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান অজিত সিং জানান, " আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের এবিষয়ে অনেক আগেই সতর্ক করে দিয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জুয়াড়িরা ফাঁদ পেতে সন্তর্পনে ঢুকে পড়বে। আসলে জুয়াড়িরা যে ফ্যান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আপনার কোনও কোনও প্রিয়জনের মাধ্যমেও এই যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করতে পারে। তাই যাই হোক না কেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে এই রকমভাবে কেউ কোনওরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সবটাই আমাদের জানাবে।"
আরও পড়ুন - ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে অজিদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংসের পর যুবির ব্যাট পরীক্ষা করেন ম্যাচ রেফারি!