আর্মি ক্যাপ পরে রাঁচিতে নামল কোহলির ভারত, অভিনব উদ্যোগে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব ধোনির
শহীদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন বিরাট কোহলিরা।
নিজস্ব প্রতিনিধি- আর পাঁচটা ম্যাচের মতো বৃহস্পতিবার নীল রঙা টুপি পরে নামেননি বিরাট কোহলিরা। রাঁচির জেএসসিএ স্টেডিয়ামে তখনও ম্যাচ শুরু হতে বেশ কিছুক্ষণ বাকি। হঠাত্ করেই মাঠে এল অনেকগুলো আর্মি ক্যাপ। সেনা যেমন পরে তেমনই জলপাই রঙের টুপি বিরাট, বুমরাদের হাতে তুলে দিলেন এম এস ধোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মন জিতে ফেললেন বিরাট-জাদেজারা।
আরও পড়ুন- রাঁচিতে কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্য়াচে ধোনি! এমএসডিকে বড়সড় সার্টিফিকেট সৌরভের
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে ফিঁদায়ে হামলার পর থেকে ফুঁসছে গোটা দেশ। ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর বদলা হিসাবে পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিয়েছে আএইএফ। ভারতীয় সেনার এমন পদক্ষেপকে সম্মান জানাতেই এদিন ভারতীয় দল এমন অভিনব উদ্যোগ নিল। আর্মি ক্যাপ পরেই এদিন টসে এলেন কোহলি। জিতলেন। তার পর বলে গেলেন, এটা স্পেশাল ক্যাপ। ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতেই আমাদের এমন উদ্যোগ।
আরও পড়ুন- কার ছক্কা কতদূর যায়! জাদেজা, চাহালদের চ্যালেঞ্জে উড়িয়ে খেললেন ধোনি
এখানেই শেষ নয়। শহীদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন বিরাট কোহলিরা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের পারিশ্রমিক শহীদ জওয়ানদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে গেলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বিরাট বললেন, দলের প্রত্যেকে এই ম্যাচের পারিশ্রমিক তুলে দেব শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে অনুরোধ করব, এমন কঠিন সময়ে শহীদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ২০১১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় সেনার সাম্মানিক লেফট্যানান্ট কর্নেল পদের দায়িত্ব পেয়েছেন ধোনি। তবে পুলওয়ামা হামলার পর ধোনি কোথাও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তাই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। রাঁচির মাঠে এটাই ধোনির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলে মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। আর ঘরের মাটে শেষ ম্যাচে নেমে ধোনির এমন উদ্যোগ সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিল। ভারতীয় দলের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আর্মি ক্যাপ পরে মাঠে নামা ও শহীদ পরিবারের হাতে ম্যাচ ফি তুলে দেওয়ার আইডিয়া আসলে ধোনির মস্তিষ্কপ্রসূত। ভারতীয় দলের এমন উদ্যোগ ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়োতে শুরু করেছে।