ওয়েব ডেস্ক: ১৩০ কোটির দেশে পদকের খরা! প্রতিবারের মতই অলিম্পিকে ভারতের পদকের খরা এবারেও অব্যাহত। এটা প্রথমবার নয় যেখানে ভারতের অ্যাথেলিটরা পদক প্রাপ্তির খুব কাছে গিয়েও খালি হাতে দেশে ফিরছেন। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সারা ফেলে দেওয়া বঙ্গ ললনা দীপা কর্মকার পয়েন্ট কিছু স্কোর থেকে পিছিয়ে হাতছাড়া করেছেন ব্রোঞ্জ পদক। এর আগে আরও এক বাঙালি শুটার জয়দীপ কর্মকারও অলিম্পিকে চার হয়েই দেশে ফিরেছেন। এই ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয় বরং যেন অতি সাধারণ। ভারত অলিম্পিকে যাবে আর শূন্য হাতে ফিরে আসবে এটাই যেন স্বাভাবিক! ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিক, ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক- ভারত শেষের দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর মধ্যে নিজের জায়াগা পাকা করেছে। ১৩০ কোটির ভারত ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করে ৬টি পদক জিতেছিল, তবে তার একটিও সোনা ছিল না। অথচ এই ১৩০ কোটির ভারতই তিন তিনবার বিশ্ব ক্রিকেটের 'ফার্স্ট বয়' হয়েছে। ক্রিকেটে যদি সাকসেসের বর্ষা আসে তাহলে অলিম্পিক কেন এই খরা? উত্তর খুঁজেছে চীনের গণমাধ্যাম। তাঁদের গবেষণায় যে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে- 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


* প্রথম সমস্যা ভারতে ধনী ও গরিবের ফারাক। জীবন বাঁচানোর তাগিদ গরিবদের ওপর খেলা বিমুখীনতা তৈরি করছে বলেই চীনের গণমাধ্যমের মত। তার সঙ্গে গবেষণাও উঠে এসছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেখানে ভারত সরকারের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত। খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে উন্নত বিশ্ব যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তার সিকি ভাগও করে না ভারত।       


* আঞ্চলিক খেলাধুলার প্রতি ভারতের উদাসীনতা হল দ্বিতীয় কারণ। ভারতের বেশিরভাগ পরিবারই তাঁদের সন্তানকে খেলোয়াড় বানানোর বদলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার জন্য বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। খেলাধুলার সংস্কৃতি ভারতে তলানির দিকে।


* অনুন্নত জাতি বা গোষ্ঠী সাধারণের মত সমান সুযোগ পায় না। শিক্ষা, পুষ্টি থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। সামাজিক বিভাজনও একটা মারাত্মক কারণ বলেই মনে করছে চীনের গণমাধ্যম। 


* ক্রিকেটের প্রতি 'অত্যাধিক প্রেম'। ভারতের জাতীয় খেলা হকি, অথচ তা একপ্রকার হারিয়ে যাওয়ার পথে। অথচ ব্রিটিশদের থেকে পাওয়া ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি যেমনভাবে হয় তাতে ক্রিকেটই যেন ভারতের জাতীয় খেলায় পরিণত হয়েছে। ক্রিকেটে ভারত সেরা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় অলিম্পিকে ক্রিকেট নেই।