ওয়েব ডেস্ক: এবার আর একটা পদকও হবে না। আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিল দেশ। শ্যুটিং থেকে তিরন্দাজি। টেনিস থেকে বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স। সবেতেই শুধু হার আর হার। শেষ অবধি পদক জিতল ১৩০ কোটির দেশ। প্রতিযোগিতার ১৭তম দিনে চাতক পাখির মত পদকের অপেক্ষায় থাকা দেশের শূন্যতা কাটালেন হরিয়ানার ২৩ বছরের কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। অলিম্পিকের ইতিহাসে দেশের চতুর্থ মেয়ে হিসেবে আনলেন পদক। ভারোত্তলক কর্ণম মালেশ্বরী, বক্সার মেরি কম এবং শাটলার সাইনার নেহওয়ালের পর কুস্তিতে সাক্ষী। দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসেবে ইতিহাস গড়ে পদক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অলিম্পিকের সব খবর


রাতে দেশ তার হারের খবর শুনে ঘুমোতে গেছিল, দেশের সব সংবাদপত্রে তার হারের খবর প্রকাশিত হল, তখন ভারতীয় সময় গভীর রাতে দুটো জয় ছিনিয়ে এনে ইতিহাসে নাম লেখালেন হরিয়ানার রোহতাকের মেয়ে কুস্তিগির সাক্ষী মালিক।


দেশকে প্রথম পদক এনে দেয়ে কেঁদে ফেললেন সাক্ষী। ৫৮ কেজি ফ্রি স্টাইলে ব্রোঞ্জ জিতলেন সাক্ষী। দীপা কর্মকার বা সাইনা নেওয়ালরা যা  পারেননি, তাই করে দেখালেন সাক্ষী। কোয়ার্টার ফাইনালে হারলেও জয়ী বিপক্ষ ফাইনালে ওঠায় রেপেশাজ রাউন্ড ও পদক জেতার সুযোগের সামনে পৌছে যান। রেপেশাজ রাউন্ড টু বাউটে প্রথমে মঙ্গোলিয়ার ওরকনের বিরুদ্ধে ১২-৩ জেতেন সাক্ষী। তারপর ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে কিরগিজস্তানের আইসুলু টাইবেকোভাকে হারিয়ে ভারতকে প্রথম পদক এনে দিলেন সাক্ষী।  



মহিলাদের কুস্তিতে আরও একটা নিশ্চিত পদক হাতছাড়া হয় ভিনেশ ফোগাত কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পাওয়ায়। চিনের খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকা অবস্থায় চোট পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন ফোগাত। তা না হলে সাক্ষীর মত ফোগাতও হয়তো পদক এনে দিতে পারতেন।


একটা এসে যাওয়ার পর ব্যাডমিন্টনে পি ভি সিন্ধুকে নিয়েও পদকের আশা রয়েছে। সিন্ধু চলে গিয়েছেন সেমিতে। একটা জিতলেই পদক নিশ্চিত। ভারত এখন পদক তালিকায় ৭০ নম্বরে।