নিজস্ব প্রতিবেদন— নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই কথা বলেন তিনি। বেশিরভাগ কথাই ক্রিকেট নিয়ে বলেন ইনজামাম উল হক। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে আবার আটোমেটিক আরও দুটি বিষয় চলে আসে। এক, দুর্নীতি। দুই, নাশকতা। এই দুটি ব্যাপারও যেন পাকিস্তানের ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। আর তাই শোয়েব আখতার থেকে শুরু করে ইনজামাম উল হক, যিনিই পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলুন না কেন, এই দুটি বিষয় এড়িয়ে যেতে পারেন না। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা দলের উপর জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে একঘরে করে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কোনও দেশই আর পাকিস্তানে ক্রিকেট সিরিজ খেলতে যেতে রাজি ছিল না। শেষমেশ সেই শ্রীলঙ্কাই ফের খেলে এল পাকিস্তানে। দশ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানের মাটিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইনজামাম ২০২০ করাচি বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলছিলেন। তখনই তিনি বললেন, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল। করাচিতেই সেদিন ম্যাচ খেলার কথা ছিল পাকিস্তান—নিউ জিল্যান্ডের। তাই হোটেলে তৈরি হচ্ছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। সেই সময় হোটেলের কাছাকাছি এক জায়গাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। চারপাশ কেঁপে ওঠে। ইনজি বলছিলেন, ''আমি সেই সময় হোটেলের ঘরেই ছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে হোটেলের এক কর্মীকে ব্যাপরটা জিজ্ঞেস করতে সে বলে, কাছাকাছি এক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি তখন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বেসমেন্ট—এ চলে যেতে বলি। সেই সময় নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সুইমিং পুল—এ স্নান করছিল। ওদের মধ্যে অনেকে ভয় পেয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেছিল। আমরা কেউই এমন পরিস্থিতিতে আগে পড়িনি।''


আরও পড়ুন—  এক গাল পাকা দাড়ি, চুলও সাদা! 'বৃদ্ধ' ধোনিকে দেখে আপনারও কি মন খারাপ?


ইনজামাম আরও বললেন, ''যে সময় বিস্ফোরণ হয় আমরা তখন মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। অনেক ক্রিকেটার সকালের খাবার খেতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল। আমার রুমের জানালার কাঁচ ভেঙে দেওয়ালে ছিটকে গিয়ে লাগে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমরা সবাই।'' প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে করাচির শেরাটোন হোটেলের সামনে ফিঁদায়ে হামলা হয়েছিল। গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। এর পর পাকিস্তান—নিউ জিল্যান্ড সিরিজ বাতিল হয়।