চেন্নাই সুপার কিংস ২২০/৩
কলকাতা নাইট রাইডার্স 
১৮ রানে জয়ী চেন্নাই


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের (KKR vs CSK) ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক হল বুধবার৷ ওয়াংখেড়েতে টানা তিন ম্যাচ জিতল চেন্নাই৷ অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হারল কলকাতা৷ চেন্নাইয়ের ২২০ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে দুরন্ত লড়েও কলকাতা শেষ পর্যন্ত পারল না৷ ১৮ রানেই হারল কেকেআর৷


এদিন অইন মর্গ্যান (Eoin Morgan) টস জিতে এমএস ধোনিদের (MS Dhoni) ব্যাট করতে পাঠান৷ প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই নির্ধারিত ওভারে তুলল তিন উইকেট হারিয়ে ২২০৷ সৌজন্যে ফাফ দু প্লেসিস (Faf du Plessis) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)৷ ফাফ-গায়কোয়াড়ের ওপেনিং জুটি দুরন্ত মেজাজে শুরুটা করেন৷ ১২.২ ওভার ব্যাট করে তাঁরা সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে যোগ করেন ১১৫৷ গায়কোয়াড় ফিরে যান বরুণ চক্রবর্তীর বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে৷ তবে তরুণ ক্রিকেটার এদিন নজরকাড়া ব্যাটিং করেন৷ ৪২ বলে ঝোড়ো ৬৪ রানের ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের সৌজন্যে৷ গায়কোয়াড় ফেরার পর ফাফের সঙ্গী হন মঈন আলি (Moeen Ali)৷ ব্রিটিশ অলরাউন্ডার ১২ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি৷ সুনীল নারিনের বলে দীনেশ কার্তিক তাঁকে স্টাম্প করে দেন৷ 


মঈন ফিরতেই চেন্নাই দলে চমক থাকল৷ চারে ব্যাট করতে নেমে পড়লেন স্বয়ং অধিনায়ক ধোনি৷ ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে প্রমোট করলেন ক্যাপ্টেন কুল৷ ফাফের হাত শক্ত করতে আর রানের গতি বাড়াতেই মাঠে নামেন তিনি৷ অনেকদিন পর দেখা মিলল ভিন্টেজ ধোনির৷ ফ্যানেদের মন ভাল করে দিলেন মাহি৷ ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলেলন তিনি৷ ২টি চার ও ১টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে৷ ধোনি ফিরতে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ফাফ অপরাজিত থাকলেন ৯৫ রানে৷ পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান৷ ৬০ বলের আগুনে ইনিংসে ৯টি চার ও ৪টি ছয় মারেন বিধ্বংসী৷ শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে তুলে দিলেন ২২০ রান৷ 


নিঃসন্দেহে কলকাতার জন্য বড় রানের টার্গেট ছিল৷ আর এই রান তাড়া করতে নেমেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কেকেআর৷ প্রথম পাঁচ উইকেট চলে যায় ৩৫ রান৷ দীপক চাহার (Deepak Chahar) একাই কলকাতার শিরদাঁড়া ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন৷ তুলে নেন চার উইকেট ৷ এই জায়গা থেকে কোনও দলের পক্ষেই কার্যত মুখ তুলে দাঁড়ানোটা অসম্ভব হয়ে যায়৷ কেকেআরের পক্ষেও সেটাই হলো৷ টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে খুইয়ে ধুঁকতে থাকল মর্গ্যান বাহিনী৷ তবে শেষের দিকে দীনেশ কার্তিক (৪০), আন্দ্র রাসেল (৫৪) মরিয়া একটা চেষ্টা করলেন, যদি ভাগ্যের চাকা ঘোরানো যায়৷ তবে আলাদা করে বলতেই হবে এদিন প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) ব্যাটিংয়ের কথা৷ বিশ্ববন্দিত ফাস্টবোলার আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যে ক্রিকেটটা খেললেন, তাতে করে এক সময় মনে হচ্ছিল যে, সত্যিই না অঘটন ঘটিয়ে দেন তিনি৷ কারণ ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই৷ তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ব্যাটসম্যান, বোলার নন৷ কী খেলাটাই না খেললেন এদিন! শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেন কামিন্স৷ ৩৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্স৷ ৪টি চার ও ৬টি ছয় মারেন তিনি৷ কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা যে আগেই চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছেন৷ কামিন্স থাকলেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ থাকল না আর৷ ১৮ রানে ম্যাচ হারল কলকাতা৷


কেকেআরের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া লড়াইয়ের ম্যাচ ছিল এটা, অন্যদিকে চেন্নাই ছিল জয়ের হ্যাটট্রিকের পথে৷ দুই বিশ্বকাপ জয়ী ঠান্ডা মাথার ক্যাপ্টেনর মহাসংগ্রামও ছিল ম্যাচ৷ একজন প্রাক্তন, অন্যজন বর্তমান৷ ম্যাচটা কেকেআর বনাম সিএসকে যতটা, ঠিক ততটাই ছিল ধোনি বনাম মর্গ্যানও৷ শেষ হাসি হাসলেন ধোনিই৷