মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫০/৫
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৩৭
১৩ রানে জয়ী মুম্বই


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫০ রানের পুঁজি নিয়েও সম্ভবত জয়ের জন্য নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন একমাত্র রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সৌজন্যে তাঁর দলের দুর্দান্ত বোলাররা। কলকাতার পর এবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও লো স্কোরিং ম্যাচে হেসে খেলে জিতে নিল মুম্বই। রাহুল চাহার ও ট্রেন্ট বোল্টের হাতেই জয়ের ভাগ্য লিখিয়ে নিলেন রোহিত। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হেরে হারের হ্যাটট্রিক করল অরেঞ্জ আর্মি।


শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রোহিত শর্মার মুম্বই। কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock) ও রোহিতের ওপেনিং জুটিতে ৬.৩ ওভারে ৫৫ রান তোলে মুম্বই। ২৫ বলের ঝোড়ো ৩২ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান রোহিত। বিজয় শঙ্করের বলে বিরাট সিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন হিটম্যান। মুম্বইয়ের অধিনায়ক ফিরতেই সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও ঈশান কিশানও (Ishan Kishan) শুধু এলেন আর গেলেন। সূর্যকুমার ১০ রান করে শঙ্করের বলেই তাঁর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। অন্যদিকে ঈশান করলেন মাত্র ১২। মুজিবুর রহমানের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে জমা পড়ে গেলেন তিনি। নিয়মিত ব্যবধানে পরপর তিন উইকেট হারানো মুম্বই রীতিমতো ধুঁকতে থাকে। এরপর দুই গেমচেঞ্জার কায়রন পোলার্ড (Kieron Pollard) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya) আসেন দলের রানের গতি বাড়াতে। কিন্তু পাণ্ডিয়া স্কোরবোর্ডে মাত্র সাত রান যোগ করেই ফিরে গেলেন। এরপর পোলার্ডকে সঙ্গ দিতে আসেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (Krunal Pandya)। শেষের দিকে পোলার্ড কিছুটা আলো ছড়ালেন বলেই মুম্বই ১৫০ রান তুলতে সমর্থ হলেন। ক্যারিবিয়ান স্টার ২২ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস না খেলতে পারলে মুম্বই এই রানও তুলতে পারত না।


মুম্বইয়ের রান তাড়া করতে নামেন ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) ও জনি বেয়ারস্টো (Jonny Bairstow)। তাঁদের ব্যাটে ১৫১ রানের টার্গেট ভালই তাড়া করছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে বেয়ারস্টো ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার বলে হিট উইকেট হয়ে গেলেন! ২২ বলে ঝকঝকে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরে বসলেন ব্রিটিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ৩টি চার ও ৪টি ছয় মারেন বেয়ারস্টো। তিনি ফেরার পরের ওভারেই চলে যান সদ্য ক্রিজে নামা মণীশ পাণ্ডে (২)। রাহুল চাহারের প্রথম শিকার হন তিনি। দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়তে চাইল না হায়দরাবাদের। ১২ ওভারে রানআউট হয়ে গেলেন ওয়ার্নার (৩৪ বলে ৩৬)। এরপর বিরাট সিংকেও (১১) বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দিলেন না চাহার। এরপর বিজয় শঙ্করের কাঁধে ম্যাচ বার করার গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে এসে অভিষেক শর্মা (২) ও আব্দুল সামাদরা (৭) রীতিমতো ব্যর্থ হন। অভিষেকও উইকেট দিলেন চাহারের বলে, অন্যদিকে আব্দুলকে রানআউট করলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। উইকেটের ধস নামতে শুরু করে। রশিদ খান, (০) শঙ্কর (২৮) ফিরে যান। হায়দরাবাদের জেতার জন্য শেষ ওভারে ১৬ রানের টার্গেট ছিল। ক্যাপ্টেন রোহিত জানেন যে, শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টকে বল তুলে দিলে, কিউয়ি পেসার জিতিয়েই ফিরবেন। ডেথ ওভারে বোল্টের ভোল্টেজই থাকে অন্যরকম। এসেই তিন উইকেট নিয়ে একাই বাকি কাজটা সেরে ফেললেন। মুম্বই জিতল ১৩ রানে।