নিজস্ব প্রতিবেদন- আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে আইপিএল। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শুরু হতে চলেছে আইপিএল-এর তেরোতম মরসুম। নভেম্বরের আট তারিখ ফাইনাল। তার মানে একান্ন দিনের মধ্যে ষাটটি ম্যাচ খেলা হবে। এর আগে চুয়াল্লিশ দিনে ষাটটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। আইপিএল-এর দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বটেই। কিন্তু প্যান্ডেমিক-এর মধ্যে গোটা একটা টুর্নামেন্ট ইউএই-তে করানোটা যে বেশ কঠিন হতে চলেছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন আইপিএল গভার্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল। কারণ আইপিএল খেলতে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফ ইত্যাদি নিয়ে প্রায় বারোশোজন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পা রাখবেন। এর মধ্যে রয়েছেন ম্যাচ অফিশিয়াল এবং ধারাভাষ্যকাররাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে এই বারোশোজন ব্যাক্তি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। তাঁদের একজায়গায় এনে তারপর ইউএই-তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মহামারির মধ্যে কিভাবে এতগুলো মানুষকে একজায়গায় একত্রিত করা হবে সেটা নিয়েই এখন বিসিসিআই এবং ফ্র্যাঞ্চাইদের মধ্যে ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রয়োজনে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চার্টার্ড প্লেনে বিদেশ থেকে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের আনতে বলা হয়েছে। এরই পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সবার ভিসার প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএই উড়ে যাওয়ার বাহাত্তর ঘন্টা আগে প্রত্যেকের দুটি করে কোভিড টেস্ট করা হবে। যদি কারও সামান্যও উপসর্গ ধরা পড়ে তাঁকে ইউএই নিয়ে যাওয়া হবে না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নামার পর প্রত্যেকের ফের দুটি করে কোভিড পরীক্ষা হবে। এরই পাশাপাশি সবাইকে বাহাত্তর ঘন্টা আইসোলেশনে থাকতে হবে। 


আরও পড়ুন-  ১৪০ কেজি ওজনের ক্রিকেটার ধরলেন অসাধারণ ক্যাচ! অবাক ক্রিকেটভক্তরা


পরিকল্পনা অনুযায়ী আইপিএল শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে সবাইকে ভারতে পৌঁছে যেতে হবে। অগাস্টের মাঝামাঝি ইউএই পৌঁছে যাওয়ার কথা গোটা আইপিএল দলের। অবশ্য ক্রিকেটারদের দ্রুত ম্যাচফিট হওয়ার আশঙ্কায় সবাই। কারণ প্রায় ছয় মাস মাঠে নামেননি অধিকাংশ ক্রিকেটার।
এর আগেও দুহাজার নয় এবং দুহাজার চোদ্দ সালে ভারতের বাইরে আইপিএল-এর আসর বসেছিল। বিদেশে আইপিএল করানো বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। এবছর তো গোঁদের উপর বিষফোড়া করোনাভাইরাস।