জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে  (Narendra Modi Stadium, Ahmedabad) গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) ৫৫ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) হারিয়েছে। আর এই স্টেডিয়ামেই গত ৯ এপ্রিল দুঃস্বপ্নের রাতের সাক্ষী থেকেছেন গুজরাতের বাঁ-হাতি জোরে বোলার যশ দয়াল (Yash Dayal)। ওই ম্যাচে  কেকেআর ব্য়াটার রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) টি-২০ ত্রিকেটে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন। শেষ ৬ বলে কেকেআরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। রিঙ্কু টানা পাঁচটি ছয় মেরে সব হিসেব বদলে দেন। ২১ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। যশ দয়াল ভাবতেও পারেননি যে বল হাতে তাঁর এমন দুর্দিন আসতে চলেছে। এরপর থেকে আর যশ মাঠে নামতে পারেননি। রিঙ্কু আতঙ্ক তাঁকে এমনই তাড় করছে। গুজরাত-মুম্বই ম্যাচের পর গুজরাতের ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া জানিয়ে দিলেন যে, একেবারেই আর খেলার জায়গায় নেই যশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'ছি, ছি! রিপোর্টারের লজ্জা হওয়া উচিত', চরম ভুয়ো খবরে তেলে-বেগুনে জ্বলছেন আর্চার


ম্যাচের পর হার্দিক সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেন, 'দেখুন যশের অবস্থা এখনও ভালো নয়। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারব না যে, ও আদৌ এই মরসুমে আর খেলবে কিনা! ওই ম্যাচের পরেই যশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় ওই চাপের জন্য় ওর ভাইরাল ইনফেকশন হয়ে যায়। এমনই অসুস্থ হয়েয়ে যে, ৭-৮ কেজি ওজন  কমে গিয়েছে যশের। দিনের শেষে কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ। সত্যি বলতে ও মাঠে নামার মতো জায়গাতেই নেই। মাঠে নামতে যশের অনেকটা সময় লেগে যাবে।' যশ গত মরসুমে গুজরাতের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। ২৫ বছরের প্রয়াগরাজের বোলারকে কিন্তু এই মরসুমে রীতিমতো নিস্প্রভ দেখাচ্ছিল। কেকেআর ম্যাচ নিয়ে তিনি তিন ম্যাচ খেলেছিলেন। একটিও উইকেট তুলে আনতে পারেননি। ইকোনমি রেট ছিল ১৫.৮৩। যশের ওই দুঃস্বপ্নের রাতের প্রভাব পড়েছে পরিবারেও। যশের বাবা চন্দ্রপাল দয়াল যদিও ছেলের সঙ্গেই আছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, খেলাধুলোয় এমন মহূর্ত আসে। এমনকী জীবনেও আসে। ব্য়র্থতার পরে শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই গুরুত্বপূর্ণ।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)