Naveen-ul-Haq: `আইপিএল খেলতে এসেছি, গালাগালি খেতে আসিনি`! মারাত্মক পরিণামের হুঁশিয়ারি আফগানের
I have come to play in the IPL, not to take abuses says Naveen-ul-Haq: ইট মারলে পাটকেল খেতেই হবে। সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন আফগান ক্রিকেটার নবীন-উল-হক। লখনউয়ের আফগান পেসার কোথাও এও বলে দিলেন যে, বিরাট তাঁকে গালাগালিই করেছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাম নবীন-উল-হক মুরিদ (Naveen-ul-Haq Murid)। কাবুলে জন্মানো বছর তেইশের ডানহাতি জোরে বোলার এখন খবরের শিরোনামে। মাঠে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে আলোচনায় লখনউ সুপার জায়েন্টসের (Lucknow Super Giants) এই আফগান। খুইয়েছেন ৫০ শতাংশ ম্যাচ-ফিও। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫০ লক্ষ টাকায় এই বছর তাঁকে নিলামে নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেটে নবীন কিন্তু পরিচিত মুখ।
নিজের দেশের বাইরেও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও কুড়ি-কুড়ির ক্রিকেটে নিজেকে চিনিয়েছেন। আইপিএল খেলতে আসার আগে নবীনের বায়োডেটায় লেখা ছিল ১২২টি টি-২০ ম্যাচে উইকেটের সংখ্যা ১৫৩। গড় ২২.০৯ ও ইকোনমি রেট ৭.৯৪। সেরা পরিসংখ্যান ১১ রানে ৫ উইকেট। পাল্টা উত্তর দেওয়া এই প্রথম নয় নবীনের। ইতিহাস বলছে, তিনি মহম্মদ আমির (Mohammad Amir) ও শাহিদ আফ্রিদিদের (Shahid Afridi) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন! নবীন কিন্তু সাফ জানিয়ে দিলেন যে, বিরাট কিছু বলেছেন বলেই পাল্টা দিয়েছেন।
এক সর্বাভারতীয় সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে যে, ম্যাচের পর নবীন তাঁরই এক সতীর্থকে বলেছেন, 'আমি আইপিএল খেলতে এসেছি, গালাগালি খেতে আসিনি'। ঠিক কী হয়েছিল একানাতে আরসিবি ও এলএসজি ম্যাচে?ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের পর দু’দলের ক্রিকেটারদের সৌজন্যের করমর্দন দিয়ে। আরসিবি-র ১২৬ রান তাড়া করতে নেমে লখনউ ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সবাই জানেন যে, কোহলি মাঠের মধ্যে টগবগ করে ফোটেন। লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ছিল, আর তিনি উল্লাসে মেতে উঠছিলেন। যেরকমটা তিনি করেন। এর পাশাপাশি লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকারও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে আসা নবীন (১৩ বলে ১৩) ১৮.৪ ওভারে আউট হতেই, কোহলি ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে। এমনকী কোহলি মাথা থেকে টুপি খুলে ছুড়ে ফেলেন। নবীন কিছুতেই কোহলি এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: Preity Zinta: 'ছেলেদের প্রচণ্ড খিদে', মুখ খুললেন মালকিন, ১২০-র পর আর পারেননি প্রীতি!
এই ঘটনার রেশ থেকে যায় ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময়েও। কোহলিকে কিছু একটা বলে তাতিয়ে দিয়েছিলেন নবীন। কোহলিও দেন পাল্টা। এবার গম্ভীর, কেএল রাহুল এগিয়ে আসেন পরিস্থিতি শান্ত করতে। দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা ছুটে আসেন। অমিত মিশ্র ও বিজয় দাহিয়াও চলে আসেন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে। কোহলিকে প্রথমে ফাফ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য কোহলি ফের তেড়ে যান। এই ঘটনার পর কোহলি ইনস্টাগ্রামে সুকৌশলে ট্যুইট করেন। তিনি রোমান শাসক মার্কাস অরেলিয়াসকে উদ্ধৃত করে ইনস্টা স্টোরি দেন। সেই বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে - Everything we hear is an opinion, not a fact. Everything we see is a perspective, not the truth। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'আমরা যা শুনি, সবই মতামত, কোনও প্রকৃত ঘটনা নয় । আমরা যা দেখি তা কোনও দৃষ্টিকোণ থেকে। যা সত্য নয়।' নবীনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তিনি লেখেন, 'আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন, এটাই হওয়া উচিত। এভাবেই চলে।' এখন দেখার বিরাট-নবীন কখন শান্ত হন।
নবীন কিন্তু তাঁর আচরণ বদলাবেন না। এমন ইঙ্গিতই এক সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন। এক ক্রিকেট ম্যাগাজিনে নবীন বলেছিলেন, 'আমাকে কেউ যদি কিছু বলে, আমি কিন্তু পিছিয়ে আসব না। এই ব্যাপারটা সেই ছোট থেকেই স্বাভাবিক ভাবে আসে আমার মধ্যে। আমি যদি বলি যে, আমি বদলে যাব। তাহলে সত্যি বলা হবে না। আমাকে কেউ কিছু বললে, আমি পাল্টা দেব না। এটা বলতেই পারি না। উত্তর দেওয়াটা আমার ডিএনএ-তে আছে।' এখন দেখার নবীন আইপিএলের বাকি ম্যাচে আরও কিছু কাণ্ড ঘটান কিনা!