Jos Buttler | RR vs RCB: না চেয়েও হয়ে গেল! চরম লজ্জার রেকর্ড করলেন `জস দ্য বস`
Jos Buttler Equals Unwanted IPL Record: গত মরসুমে মাথায় উঠেছিল কমলা টুপি। তবে আইপিএল সিক্সটিনে বাটলারের ব্য়াট কিন্তু সেভাবে কথা বলছে না। বিশ্বকাপ জয়ী ব্রিটিশ ওপেনার এবার না চেয়েও করে ফেললেন চরম লজ্জার রেকর্ড।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) ব্রিটিশ ওপেনার জস বাটলার (Jos Buttler) গত মরসুমে আইপিএলের সর্বোচ্চ রানশিকারি হয়েছিলেন। তবে এই মরসুমটা একেবারেই বাটলারের সঙ্গ দিচ্ছে না। রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) নিজেদের ঘরের মাঠে সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে (Sawai Mansingh Stadium, Jaipur) রবির বিকেলে লজ্জার ইতিহাস লিখল। এদি জয়পুরে সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) দল খেলতে নেমেছিল ফাফ দু প্লেসিসের (Faf du Plessis) রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore) বিরুদ্ধে। আরসিবি টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান তুলেছিল। সৌজন্যে ফাফ (৪৪ বলে ৫৫) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৩৩ বলে ৫৪) অর্ধ-শতরানের ইনিংস। আরসিবি-র এই রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। আরসিবি ডু-অর-ডাই ম্যাচে ১১২ রানে জিতে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থেকেছে। এই ম্যাচে বাটলার মাত্র দুই বল খেলে ডাক হয়ে ফিরে যান। ওয়েন পার্নেলের বলে মহম্মদ সিরাজের হাত ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এর সঙ্গেই চরম লজ্জার রেকর্ড করলেন 'জস দ্য় বস'। আইপিএলের এক মরসুমে সর্বাধিক ডাক করার রেকর্ডে নিজের নাম জুড়ে ফেললেন বাটলার।
আইপিএলে যাঁরা এক মরসুমে চারবার ডাক হয়েছেন:
হার্শেল গিবস (ডিসি, ২০০৯)
মিথুন মানহাস (পিডব্লিউআই, ২০১১)
মণীশ পাণ্ডে (পিডব্লিউআই, ২০১২)
শিখর ধাওয়ান (ডিসি, ২০২০)
অইন মরগ্যান (কেকেআর, ২০২১)
নিকোলাস পুরান (এসআরএইচ, ২০২১)
জস বাটলার (আরআর, ২০২৩)
আরও পড়ুন: RR vs RCB | IPL 2023: মাত্র ৫৯ রানে অলআউট! লজ্জার ইতিহাস রাজস্থানের, অক্সিজেন পেল আরসিবি
আরসিবি-হয়ে মহম্মদ সিরাজ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেন ১ উইকেট করে। ওয়েন পার্নেল তুলে নেনে তিন উইকেট। মিশেল ব্রেসওয়েল ও করণ শর্মা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। রাজস্থান এদিন প্রথম পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ২৮ রানে। ছয়ে নেমে শিমরন হেটমায়ার ১৯ বলে ৩৫ রান না করলে রাজস্থানের লজ্জা আরও বাড়ত। চলতি মরসুমের সবচেয়ে হতশ্রী পারফরম্যান্স রাজস্থানের। 'ম্যাচের পর রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু বলেন, 'আমরা সাধারণত পাওয়ারপ্লে-তে মরিয়া খেলি। কিন্তু আজ তা হয়নি। আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে এই পারফরম্যান্স। যার জন্য কিছু সময় লাগবে। এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধরন, পাওয়ারপ্লেতে হার্ড ক্রিকেট খেলতে হবে, উইকেট স্লো হয়ে যাবে জেনেও। এই ম্যাচে আমাদের জন্য এটা কাজ করেনি। তবে কৃতিত্ব দিতে হবে আরসিবি-র বোলার এবং দলকে। ওদের অসাধারণ প্রাণশক্তি ছিল এবং সত্যিই এই ম্যাচটি জিততে চেয়েছিল।' ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আরসিবি চলে এল পাঁচে। শেষ চারের দৌড়ে থাকল তারাও।