নিজস্ব প্রতিবেদন- আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতার কাছে তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ইরানের প্রথম সারির নেতাদের কাছে। কিন্তু ইরানের আদালত কারও আবেদন গ্রাহ্য করল না। ২৭ বছর বয়সী কুস্তিগীর নাভিদ আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল দক্ষিণ ইরানের একটি জেলে। নাভিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ইরানকে বিশ্ব ক্রীড়া থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিল সারা বিশ্বের ৮৫ হাজার কুস্তিগীর। কিন্তু কোনো কিছুই শেষমেশ ধোপে টিকল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের আবেদন শোনা হল না। আইওসি, ইরানের অলিম্পিক কমিটি, বিশ্ব রেসলিং এবং ইরানিয়ান রেসলিং ফেডারেশনের অনুরোধও গ্রাহ্য করা হল না। এটা খুবই হতাশার ব্যাপার। নাভিদ আকফারির পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল।’ ২০১৮ সালের ২ অগাস্ট শিরাজে হোসেন তুর্কমেন নামের এক সরকারি কর্মীকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছিলেন নাভিদ আফকারি। সেই সময় ইরানে সরকার বিরোধী মিছিল চলছিল দিকে দিকে। মন্দা অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই নিয়েই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হওয়ায় নাভিদের দুই ভাইকেও কারাদণ্ড দিয়েছে শিরাজের প্রাদেশিক আদালত। এক ভাই ভাহিদ আকফারির জেল হয়েছে ৫৪ বছর। আরেকজন হাবিব আকফারির ২৭ বছর।


আরও পড়ুন-  সচিনের নাম ভাঁড়িয়ে কোচ নিয়োগ, সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাক্তন ক্রিকেটারের


আফকারি ও তাঁর পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, জেলে নির্যাতন করে নাভিদকে খুনের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। নাভিদের আইনজীবীর দাবি, অপরাধের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইরানি বিচার বিভাগ অবশ্য নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের দাবি খারিজ করেছে। আকফারির আইনজীবী হাসান ইউনেসি দাবি করেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে পরিবারের কারোর সঙ্গে নাভিদকে শেষ দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। ইরানে কুস্তি খুবই জনপ্রিয় খেলা। কুস্তিতে এএখনও পর্যন্ত ৪৩টি অলিম্পিক পদক জিতেছে ইরান। তাই নাভিদ আফকারির এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না ইরানের জনগণ।