ATKMB vs BFC | ISL 2022-23: যুবভারতী শুনল চেনা `কৃষ্ণ বাঁশি`! প্রাক্তনীরাই ডুবিয়ে দিলেন পালতোলা নৌকা
ATK Mohun Bagan vs Bengaluru FC: তিনে ওঠা হল না এটিকে মোহনবাগানের। পয়েন্ট টেবলের চারেই থাকল সবুজ-মেরুন। কলকাতায় এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। বেঙ্গালুরুর হয়ে এদিন গোল করলেন এটিকে মোহবাগানের দুই প্রাক্তনী- জাভি হার্নান্জেজ ও রয় কৃষ্ণ।
এটিকে মোহনবাগান ১ ( দিমিত্রি পেত্রাতোস ৯০+৩')
বেঙ্গালুরু এফসি ২ ( জাভি হার্নান্ডেজ ৭৮', রয় কৃষ্ণ ৯০+১')
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইএসএলের (ISL 2022-23) প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়া এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) চেয়েছিল ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC) হারিয়ে পয়েন্ট টেবলে তিনে চলে আসতে। কিন্তু রবিবার ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Vivekananda Yuba Bharati Krirangan) জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দলের সেই সৌভাগ্য হল না। সিমন গ্রেসনের (Simon Grayson) টিম কলকাতায় এসে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। আর এই জয়ের সঙ্গেই বেঙ্গালুরু লিগ তালিকায় প্রথম ছয়ের মধ্যে চলে এল। টানা চার ম্যাচ জিতে আসা দলটার বিরুদ্ধে এটিএমবি( ATKMB) যে, এদিন কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তা আগেই জানা ছিল। তবে গোলের সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশ করতে না পারার খেসারত দিল মেরিনার্স। আর এদিন গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের হয়ে খেলা যাওয়া দুই প্রাক্তন ফুটবলারই চেনা মাঠে ফুল ফোটালেন। স্কোরশিটে নাম লেখালেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্জেজ (Javi Hernandez) ও ফিজিয়ান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna)। জাভি ২০২০-২১ মরসুম কাটিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানে। এটিকে ও এটিকে মোহনবাগান মিলিয়ে রয় কৃষ্ণ ২০১৯-২২ পর্যন্ত খেলেছেন। নিজেদের ঘরের মাঠে এই প্রথমবার বেঙ্গালুরুর কাছে হারল এটিকে মোহনবাগান।
(এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবল)
এদিন কার্ড সমস্যায় হুগো বুমোস ও আশিক কুরুনিয়ানকে পায়নি ফেরান্দো ব্রিগেড। তবুও আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক গোলমুখী আক্রমণ আসছিল ঠিকই। তবে বেঙ্গালুরুর তে-কাঠির নীচে ছিলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। দেশের অন্যতম সেরা গোলকিপারের বিশ্বস্ত দস্তানায় সব আক্রমণ প্রতিহত হয়ে যাচ্ছিল। লিস্টন কোলাসো এদিন নিজের ছায়া হয়ে বিচরণ করেছেন মাঠে। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় যুবভারতীতে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গ্রেসনের শিষ্যরা পুরো খেলার গিয়ার বদলে ফেলেন। একেবারে অলআউট ঝাঁপায় তাঁরা। ৭৮ মিনিটে প্রথম গোল আসে জাভির পা থেকে। রোশনের ক্রস ধরে জাভি গোল করতে কোনও ভুলই করেননি। এরপর ৯১ মিনিটে যুবভারতী শুনল সেই চেনা 'কৃষ্ণ বাঁশি'! প্রীতম কোটাল ও বিশাল কাইতদের ভুলের সুযোগ নিয়ে কৃষ্ণ কাজের কাজটা করে দেন। যদিও প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে কোনও সেলিব্রেশন করেননি তিনি। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের ব্যবধান কমান দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু সেই গোলের আর কোনও দাম থাকল না।