ISL 2022-23: জঘন্য ডিফেন্স, ইকেরের হ্যাটট্রিকে আরও অন্ধকারে তলীয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
গত কয়েকটি ম্যাচের মতো এবারও `ধারাবাহিকতা` বজায় রেখেছে লাল-হলুদের ডিফেন্স। ইকেরের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে নতজানু হয়ে যায় লাল-হলুদের দুই বিদেশি ডিফেন্ডার।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকে হেরে যায়! অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামলে শুরু থেকেই চাপে থাকে! এই সব বিদেশি ডিফেন্ডারদের কোথা থেকে ধরে বেঁধে নিয়ে আসা হয়!' কথাগুলো রাগে গজগজ করতে করতে মাইক হাতে নিয়ে একনাগাড়ে বলে গেলেন দেবজিত ঘোষ (Debjit Ghosh)। চলতি আইএসএল-এ (ISL 2022-23) বাংলায় ধারাভাষ্য দিচ্ছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার। পুরো ম্যাচ জুড়ে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) জঘন্য ডিফেন্স ও হতশ্রী পারফরম্যান্সকে এভাবেই বিশ্লেষণ করলেন দেবজিত। বৃহস্পতিবার এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের (Stephen Constantine) দল যেভাবে একের পর এক গোল হজম করে গেল, সেটা দেখে তো আর মুখ বন্ধ করে থাকা সম্ভব নয়। খেলার ফলাফল ৪-২ দেখে একদম ভাববেন না যে, লাল-হলুদ দারুণ লড়াই করেছে। বরং দুই পড়তি বিদেশি ডিফেন্ডারের জন্য মাত্র ২৩ মিনিটেই খেল খতম হয়ে গিয়েছিল।
এদিন ১১ মিনিটেই গোল করেন ইকের (Iker Guarrotxena)। মিনিট দশেকের মধ্যে আবার গোল। লাল-হলুদের ডিফেন্সের লক গেট খুলতেই ২১ মিনিটে ফের তাঁর গোল। ২৩ মিনিটে করে বসলেন হ্যাটট্রিক। ফলে তখনই বেশ বোঝা গিয়েছিল যে, ম্যাচের ফলাফল কোন দিকে গড়াবে। প্রথমার্ধে অবশ্য আর গোল হয়নি। তবে ব্যবধান বাড়লেও অবাক হওয়ার কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ৫৩ মিনিটে গোল করে যান ব্রেন্ডন (Brandon Fernandes)। ফলাফল দাঁড়ায় ৪-০।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy 2022-23: ওডিশার বিরুদ্ধে লজার ফলো-অনের পরেও অভিমন্যু, মনোজের ব্যাটে লড়াইয়ে বাংলা
যদিও ৪ গোল হজম করার পরেও ৫৯ মিনিটে হেড থেকে গোল করে ব্যবধান কমান ভিপি সুহের (Suhair Vadakkepeedika)। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় লাল-হলুদ। এবার 'সুপার সাব' হিসেবে নেমে গোল করলেন সার্থক গোলুই (Sarthak Golui)। ফলে ৪-০ থেকে ব্যবধান ৪-২ হয়ে যায়। এরপর অবশ্য আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
গত কয়েকটি ম্যাচের মতো এবারও 'ধারাবাহিকতা' বজায় রেখেছে লাল-হলুদের ডিফেন্স। ইকেরের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে নতজানু হয়ে যায় লাল-হলুদের দুই বিদেশি ডিফেন্ডার। ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে এই ম্যাচ হেরে আরও অন্ধকারে তলীয়ে গেল লাল-হলুদ।
ক্লাব থেকে ট্রান্সফার ব্যান তুলে নিয়েছে ফিফা। তবে কনস্ট্যান্টাইন জানেন যে, এত কম সময়ে তাঁর দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। নতুন বিদেশি আনা হলেও, দলের পারফরম্যান্সে রাতারাতি উন্নতি হবে না। কারণ ফুটবল তো আর রকেট সায়েন্স নয়। এবার সুপার কাপে সাহেব কোচের অধীনে ফুটবলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারে কিনা সেটাই দেখার।