নিজস্ব প্রতিনিধি : ইয়া বড় একখানা চেক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে সেরা হয়েছেন। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে হাসি মুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন ভারতীয় অল-রাউন্ডার। চারপাশে তখন জাদেজা নামের ধ্বনি। হাততালিও চলছে জোরকদমে। জানেন, জাদেজা সেই ইয়া বড় রেপ্লিকা চেক পাওয়ার পর সেটার কী করেন! আদতে তো সেটা রেপ্লিকা চেক। স্পনসর কোম্পানি সেই চেক স্মারক হিসাবে তুলে দেয় ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের হাতে। কখনও এক লাখ, কখনও দুই লাখ টাকা। সেই টাকা তো না হয় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। কিন্তু প্রোমোশন-এর জন্য প্রদর্শিত সেই রেপ্লিকা চেক শেষ পর্যন্ত কোথায় ঠাঁই পায়?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  হরমনপ্রীতের ঝোড়ো শতরান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘জয়যাত্রা’ শুরু ভারতের


কর্পোরেশন-র হয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করেন জয়ন নামের এক ভদ্রলোক। জাদেজা ম্যাচ সেরা হয়ে যে রেপ্লিকা চেক পেয়েছেন, সেটা এখন জয়নের হাতে। তিনি সেই চেক নিয়ে ছবি তুলেছেন। আর সে ছবি ভাইরাল করে দিয়েছে প্রকুতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে আইটি কর্মী। কিন্তু তাঁরা সবাই পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগেই তিরুবনন্তপুরমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ জিতেছে ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তার পরই একখানা পেল্লাই রেপ্লিকা চেক হাতে নিয়ে ছবি তুলেছিলেন জাড্ডু। কিন্তু ম্যাচ শেষে সেই চেক জায়গা পেয়েছে ডাস্টবিনে। সেখানে সেই চেক হাতে ছবি তুলেছেন জয়ন। যে ছবিকে কেন্দ্র করে এখন বিতর্ক। কাঠগড়ায় বিসিসিআই।


আরও পড়ুন-  ভারতের সঙ্গে সিরিজ খেলতে চায় পাকিস্তান, চিঠি গেল আইসিসিতে


প্রকুতি-র তরফে এক ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে- ম্যান অফ দ্য ম্যাচের এই পুরস্কার পেয়েছেন জয়ন। ও তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনের একজন সাফাইকর্মী। যে ৬০০ জন সাফাইকর্মীকে ম্যাচ শেষে সাফাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, জয়ন তাঁদের মধ্যে একজন। ম্যাচ শেষ হয়েছে অনেকদিন হল। কিন্তু ম্যাচ-পরবর্তী সাফাইয়ের কাজ এখনও চলছে। ম্যাচ সেরা হওয়ার জন্য একজনকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সেটা খুব ভাল কথা। কিন্তু একজনের সম্মান আরেকজনের জন্য দায়ে পরিণত হলে সমস্যা। এবার কিন্তু বিসিসিআইয়ের এই সমস্যাটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। কাউকে সম্মান করার প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এবার কোনও পরিবেশ-বান্ধব পন্থা ভাবা উচিত। এক বছর আগে তিরুবনন্তপুরমে টি-২০ ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল। সেবার ম্যাচ শেষে সাফাইয়ের কাজ চলাকালীন সাফাইকর্মীরা রেকর্ড সংখ্যক প্লাস্টিক উদ্ধার করেছিল। এবার একদিনের ম্যাচ শেষে দর্শকদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সংখ্যা কিন্তু কম। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিভিন্ন ক্যাম্পেন করা হয় বছরভর। তার ফলেই দর্শকরা গতবারের থেকে এবার বেশি সচেতন হয়েছে।