নিজস্ব প্রতিবেদন: করুণানিধি স্মরণে দেড় দশক আগের স্মৃতির কথা জানালেন বিশ্ববরেণ্য দাবাড়ু বিশ্বনাথ আনন্দ। সাল ২০০১, প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির কাছ থেকে একটি দাবা উপহার পেয়েছিলেন তিনি, সেকথাই টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তামিলনাড়ুর ৫ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দক্ষিণী রাজনীতির শেষ নক্ষত্র পতনের দিন অতীত স্মৃতি নিয়ে যা বললেন বিশ্বনাথ আনন্দ-


তামিল রাজনীতির এক বর্ষীয়ান নেতা শ্রদ্ধেয় এম করুণানিধির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমার ক্রীড়া জীবনে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছি। প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাকে সম্মানিত করেছিলনে তিনি। উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন একটি দাবা। আমি এখনও সেই উপহার সযত্নে তুলে রেখেছি। তিনি প্রবলভাবে একজন ক্রীড়া উত্সাহী ব্যক্তি ছিলেন। অসমান্য ছিল তাঁর বাগ্মিতা। তাঁর বক্তৃতা গুণমুগ্ধের মতো শুনতাম। কালাইনারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।




প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কালাইনারের। বয়স হয়েছিল ৯৩। আজ (বুধবার) চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।    


মরণের পরও অব্যাহত জয়ের ধারা : কালাইনারের সমাধি মেরিনা সৈকতেই 


করুণানিধির মৃত্যুর পর ডিএমকে চেয়েছিল চেন্নাইয়ের মেরিনা সমুদ্র সৈকতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হোক ডিএমকে প্রধানের। সেই মতো তোড়জোড়-ও শুরু হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় পালানীস্বামী সরকার। পরিবেশের যুক্তি দেখিয়ে বেঁকে বসে সরকার।


মেরিনা সমুদ্র সৈকত শশ্মানে পরিণত হওয়ায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই থালাইভার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য মেরিনা সৈকতের বদলে আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গান্ধী মন্ডপে দুই একর জমি দেওয়ার কথা বলে তামিলনাড়ু সরকার। তবে তা মানতে নারাজ ডিএমকে। পিতার জন্য সমাধিস্থলের অধিকার বুঝে নিতে মুখ্যমন্ত্রী পালানীস্বামীর সঙ্গে কথাও বলেন করুণানিধি পুত্র স্তালিন। এরপরও কোনও রফা সূত্র বের না হওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ডিএমকে।


মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হয় শুনানি। অবশেষে বুধবার সকালে আদালত জানিয়ে দিল তামিলনাড়ুর ৫ বারের মুখ্যমন্ত্রী মুথুবেল করুণানিধির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মেরিনা সমুদ্র সৈকতেই।