সুখেন্দু সরকার : সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরল উঠতেই কলকাতায় চলে এসেছিলেন প্রমোদ, ভিগনিশ, রঞ্জিতরা। সেই সঙ্গে কলকাতায় বসবাসকারী মালেয়ালিদের সঙ্গে জোট বেঁধে রবিবার প্রায় ৫০জন যুবভারতীতে হাজির হয়েছিলেন কেরলকে সমর্থন করতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যুবভারতীর গ্যালারিতে মিডল টিয়ারে ছোট্ট ব্যানারে লেখা ' টুয়েলভথ ম্যান ইজ হিয়ার... উই আর মানজাপ্পাডা'। আইএসএলের দল কেরল ব্লাস্টার্সেরও সমর্থক তাঁরা। একযোগে কেরল ফুটবলের ফ্যান ক্লাব বলাই ভাল। রবিবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে গ্যালারির ওই জনা পঞ্চাশেক মানুষ গলা ফাটালেন কেরলের জন্য। এমনকী মাঝে বাংলার ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের গণ্ডগোলও বেধে যায়। শেষমেশ পুলিস এসে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করেন। টান টান ম্যাচ শেষে সন্তোষ জয়ের উচ্ছ্বাস মাঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ল গ্যালারিতে।



দিল্লিতে কর্মরত রঞ্জিতও ছুটে এসেছেন কেরলকে সমর্থন করতে। আর কেরল থেকে আসা প্রমোদ তো বলেই দিলেন "আজ আমরা দারুণ খুশি। অত দূর থেকে কলকাতায় এসেছি। দল জিতেছে। সারারাত সেলিব্রেশন হবে।" কলকাতার বেহালাতে থাকেন আদিত্য নামে আর এক মালেয়ালি বললেন, "আমরা সবাই মনজাপ্পাডা-র সদস্য। সেমিফাইনালে জেতার পরেই আমরা সবাই মিলে এক জোট হতে থাকি। আজ এসে দল জেতায় খুব আনন্দ করব।"



এ দিন সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই কেরেলিয়ান জবি জাস্টিন এবং উবেদ। গতবার সন্তোষে কেরলের হয়ে খেলেছিলেন জবিরা। কেরল সন্তোষ ট্রফি জেতায় একমুখ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তাঁরা। এদিকে ১৪ বছর পর সন্তোষ জেতায় কেরল ফুটবলারদের ফোনে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন।


আরও পড়ুন - হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেরল