নিজস্ব প্রতিনিধি : সন্দীপ ওয়ারিয়র। তা তিনি ওয়ারিয়র (বাংলা যার মানে যোদ্ধা)-এর মতোই লড়াই চালালেন। আর যুদ্ধ শেষে জিতলেনও। ইডেনে তাঁর পাঁচ উইকেটের পারফরম্যান্স বাংলাকে ঝঞ্ঝাবিধ্বস্ত করে গেল। ঘরের মাঠে তিনদিনেই কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারল মনোজ তিওয়ারির বাংলা। আর ইডেন থেকে সদর্পে ছয় পয়েন্ট তুলে নিয়ে গেল কেরল। রনজির গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাকে নয় উইকেটে হারাল কেরল। একইসঙ্গে মনোজ-দিন্দা-সুদীপদের বাংলা নিয়ে অনেক প্রশ্নই ভাসাভাসি করতে শুরু করল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রাহুলের বিতর্কিত স্টাম্পিং, লিটন দাসের আউট টেনে আনল বাংলাদেশী মিডিয়া


প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলার ইনিংস। জবাবে কেরল করে ২৯১। ১৪৪ রানের ঘাটতি নিয়ে কঠিন লড়াই করতে নেমেছিলেন সামি-দিন্দারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা শেষ হয়ে যায় ১৮৪ রানে। অর্থাত্ জয়ের জন্য কেরলের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪১ রান। মাত্র এখ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কেরল। জলজ সাক্সেনার উইকেট না হারালে বোনাস পয়েন্টও পেতে পারত কেরল। তবে ছয় পয়েন্ট পেয়ে আপাতত কেরলের ক্রিকেটারদের মুখে চওড়া হাসি। সবুজ উইকেটে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলার। কিন্তু সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াল।


আরও পড়ুন-  খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্যই হেরেছে ভারত: শিখর ধাওয়ান


দ্বিতীয় দিনেই অবশ্য ম্যাচের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে তার পরও মনোজ তিওয়ারি ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাটে স্বপ্নের ইনিংসের খোঁজ করছিলেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। মনোজ দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেট রেখে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন। তবে একটু যেন বেশিই আগ্রাসী হয়ে পড়েছিলেন। শেষমেশ ৬২ রানে ওয়ারিয়রকে উইকেট তুলে দেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ। সুদীপ ধীরে-সুস্থেই খেলছিলেন। কিন্তু তাঁর ধৈর্য্য ভাঙল ব্যাক্তিগত ৩৯ রানের মাথায়। এর পর অনুষ্টুপ মজুমদার (২৩) ও বিবেক সিং (২৫) কিছুটা লড়াইয়ের মতো জমি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তাতে যুদ্ধ জেতা যায় না। শেষমেশ সন্দীপ ওয়ারিয়র ও বাসিল থাম্পি বাংলার দূর্গে শেষ আঘাত হানেন। আর তাতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মনোজদের বাড়ি। ওয়ারিয়র পাঁচটি ও বাসিল তিনটি উইকেট নেন। তিন ম্যাচে মনোজদের পয়েন্ট এখন ছয়। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে কেরলের পয়েন্ট ১৩।