নিজস্ব প্রতিবেদন- অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম ম্যাচ। কেকেআরের সমর্থকরা অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই দাবি তুলেছিলেন দীনেশ কার্তিকের বদলে ইয়ন মরগ্যানকে যেন কলকাতার অধিনায়ক করা হয়। তাঁদের আশা ছিল, মরগ্যান ক্যাপ্টেন হলেই দলের সব রোগ সেরে যাবে। কেকেআর আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কিন্তু সমর্থকদের ভুল ভাঙল মুম্বাই ম্যাচেই। দলের আসল সমস্যা ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক নন। এটা হয়তো এবার সমর্থকরা মেনে নেবেন। গৌতম গম্ভীর যেমন এদিন প্রশ্ন তুললেন, দল নির্বাচন নিয়ে। কেকেআর কি তাহলে এবার টিম সাজানোর দিকে মন দেবে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বই ম্যাচে কেকেআরের বোলিং লাইন-আপ নিয়ে লোফালুফি খেললেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। তারপর হার্দিক পান্ডিয়াও যেন ছিনিমিনি খেলে গেলেন। দলে আইপিএলের সব থেকে দামি বোলার। তবুও বোলিং লাইন নিয়ে এখন সবথেকে বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে। তিন ওভার বোলিং করে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার বোলার প্যাট কাম্মিন্স দিলেন ২৮ রান। তবে তিনি একাই যে রান দিয়েছেন এমন নয়। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা থেকে শুরু করে ক্রিস গ্রীন, কেউই মুম্বই ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারলেন না। আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের দুনম্বরে থাকা মুম্বই হেলায় হারাল কেকেআরকে। আট উইকেটে এই জয় মুম্বইকে আত্মবিশ্বাসের শিখরে তুলে দেবে। আর কেকেআর গিয়ে দাঁড়াবে আয়নার সামনে।


নতুন ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান টস করতে এসেই জানান, দীনেশ কার্তিক স্বার্থ ত্যাগ করেছেন। কার্তিক মুম্বই ম্যাচের আগের রাতে এসেই দলের সামনে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। কারণ হিসাবে বলেন, তিনি ব্যাটিংয়ে মন দিতে চান। ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মন দিয়ে অবশ্য এদিন রান পাননি কার্তিক। মাত্র চার রান করে আউট হন তিনি। খুব দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পর ধুঁকতে থাকে কেকেআরের ব্যাটিং লাইন। তারপর অবশ্য বোলার কামিন্স ব্যাটসম্যান অবতারে ধরা দেন। তিনি ও মরগ্যান খেলেন ৮৭ রানের পার্টনারশিপ। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন মরগ্যান। আর কামিন্স খেলেন ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। কিন্তু সেসব লড়াই ফিকে হয়ে গেল কুইন্টন ডি ককের তোলা ঝড়ে। ৪৪ বলে ৭৮ রানের ঝড় তোলেন ডি কক। এরপর ১১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনিও দেখিয়ে দিয়ে যান কলকাতার বোলিং লাইন এর কঙ্কালসার অবস্থা।