নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রিকেট অভিধানে একটা শব্দ আছে, কনভার্সন রেট। ধারাভাষ্যকাররা এই শব্দ বন্ধনীর ব্যবহার তখনই বেশি করেন, যখন কোনও ব্যাটসম্যান তাঁর ইনিংসকে ধারাবাহিকভাবে তিন সংখ্যায় পৌঁছে নিয়ে যান।  ইদানিং বিরাট কোহলির কথা বলতে গেলেই এই কনভারসন রেট-এর কথা বারে বারে বলতে হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- একদিনের আন্তর্জাতিকে সবথেকে বড় হার ইংল্যান্ডের


তাঁর ইনিংস ২০-৩০ রানের গণ্ডি পেরলেই বিরাট তা অর্ধ-শতরানে ‘কনভার্ট’ করেন। আর তারপর সুযোগ থাকলে সেই স্কোরটা অনায়াসেই তিন সংখ্যায় পৌঁছে যায়। এই কারণেই টেস্ট ক্রিকেটে বিরাটের অর্ধ-শতরানের থেকে শতরানের সংখ্যা বেশি। একদিনের আন্তর্জাতিকেও শতরান আর অর্ধ-শতরানের ফারাকটা একেবারেই নগণ্য। ৩৬ টি শতরান, আর ৪৮ টি অর্ধ-শতরান। ২১২ ম্যাচে ২০৪টি ইনিংসে ব্যাট করে বিরাটের স্কোর এখন ৯ হাজার ৯১৯। রয়েছে ৩৫ ইনিংসে নট আউট থাকার কৃতিত্বও। গুয়াহাটিতেও ম্যাচ ফিনিশ করে আসার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। তবে ১০৭ বলে ১৪০ রান করেই ফিরেছেন তিনি। যা দেখার পর বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল বলছেন, “বিরাট কোহলিকে মাঝে মাঝে মানুষের থেকেও বেশি কিছু মনে হয়। ও যে ভাবে ব্যাট করে, তাতে মনে হয় প্রতিটা ইনিংসেই হয়ত শতরান করবে। নিজের খেলার উন্নতির জন্য ও যে ভাবে পরিশ্রম করছে তা সত্যিই অনবদ্য। তিন ফরম্যাটেই সম্ভবত ও বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। ও এমন এক ধরনের ক্রিকেটার যার ব্যাটিং দেখে যেমন আনন্দ উপভোগ করা যায় তেমনই অনেক কিছু শেখাও যায়।” 


আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে না কি প্রার্থী হচ্ছেন ধোনি! টিকিট গৌতম গম্ভীরকেও


আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, “বিগত এক দশকে আমি অনেক মহান ক্রিকেটার দেখেছি। তাঁদের সবাই নিজস্ব নিজস্ব প্রতিভার অধিকারি ছিলেন। তবে বিরাট সবার থেকে আলাদা। এ ভাবে ক্রিকেট শাসন করতে আমি আর কাউকে দেখিনি।”