Kuldeep Yadav, IND vs SA: তৃতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ করছেন না কুলদীপ
Kuldeep Yadav, IND vs SA: ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। পর ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। নিজের কেরিয়ারে আগেই তিনবার হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেছিলেন কুলদীপ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম হ্যাটট্রিক কানায় কানায় ভরা ইডেন গার্ডেন্সে ছিল। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশাখাত্তনমে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খুব কাছে এসেও বিশেষ নজির গড়তে পারলেন না। আন্তর্জাতিক একদিনের কেরিয়ারে এই নিয়ে তৃতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ চলে এসেছিল। কিন্তু হল না। তবে এতে আক্ষেপ করছেন না কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। বরং দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দাপুটে বোলিং করেই খুশি টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বাঁহাতি স্পিনার। কারণ তাঁর ১৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার ধাক্কা সামলাতে না পেরেই যে ৯৯ রানে গুটিয়ে গেল ডেভিড মিলারের (David Miller) দল।
ইনিংসের বিরতির মাঝে কুলদীপ বলেন, 'চার উইকেট নিয়ে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। অনেক দিন পর আবার চার উইকেট নেওয়ার সুযোগ পেলাম। আসলে গত আইপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। যেখানেই যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, আলাদা কিছু পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি। নিজের বোলিং উপভোগ করছি।'
২০১৭ সালের ২১ সেপ্টম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। পর ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। নিজের কেরিয়ারে আগেই তিনবার হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেছিলেন কুলদীপ। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে প্রথম হ্যাটট্রিক কানায় কানায় ভরা ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ছিল। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies)বিরুদ্ধে বিশাখাত্তনমে। আর গত সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড এ (New Zealand A) দলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক এসেছিল চেন্নাইয়ের ফাঁকা চিপক স্টেডিয়াম। তবে শেষ হ্যাটট্রিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃত নয়। তাই এবার হ্যাটট্রিক সেরে ফেলতে পারলে সেটা তাঁর কাছে বড় ব্যাপার ছিল।
যদিও হ্যাট্রট্রিক হাতছাড়া নিয়ে আক্ষেপ করছেন না কুলদীপ। যোগ করলেন, 'হ্যাট্রট্রিক হাতছাড়া করলেও ভাল লাগছে। কারণ মাঠে নেমে পারফর্ম করতে পেরেছি। তবে আমার মনে হয় আঙ্গেল বদলে বলকে হাওয়াতে একটু জোরের উপর রাখলে উইকেট তুলতে সুবিধা হত।'
অস্ত্রোপচারের পর যে তাঁর বোলিংয়ের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে সেটাও জানাতে ভুললেন না কুলদীপ। ফের বলেন, 'দিল্লির মাঠে স্পিনাররা এমনিতেই বাড়তি সুবিধা পায়। বল ভাল গ্রিপ হচ্ছিল। ব্যাটারদের কাজ কঠিন করা ও তাঁদের 'সেট আপ' করার জন্য বলে বৈচিত্র এনেছি। অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে স্পিন কমে গিয়েছিল। তবে এখন আর স্পিন নিয়ে সমঝোতা করছি না। তাই সাফল্য পেলাম।'
এই পাঁচ বছরে কুলদীপের জীবন অনেকটা বদলে গিয়েছে। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সেই টিম ইন্ডিয়াতে কুলদীপ ছিলেন স্পিন বিভাগের উজ্জলতম মুখ। আর এখন তিনি সেই ভারতীয় দলে 'ব্রাত্য'। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাঁকে জায়গা দেয়নি চেতন শর্মার জাতীয় নির্বাচক কমিটি। কিন্তু একদিনের সিরিজে মাঠে নেমেই নিজের জাতের পরিচয় দিয়েছেন। 'ব্রাত্য' কুলদীপ স্পিনের জাদুতে বাইশ গজে ঝড় তুললেন।