নিজস্ব প্রতিবেদন- স্ত্রীর দোষের শাস্তি তিনি পেলেন। স্ত্রীর দোষের জন্য তিনি ক্ষমা চাইলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আট মিনিটের একটি ভিডিয়ো দুনিয়া তোলপাড় করে দিয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গলায় হাঁটু চেপে খুন করেছেন এক পুলিসকর্মী। আমেরিকার এই ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। সেই আট মিনিটের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কতটা নৃশংসভাবে খুন করে হয়েছে ফ্লয়েডকে। যদিও আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের উপর নির্যাতনের ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে ফ্লয়েডের ঘটনা নতুন করে অনেক বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সারা বিশ্ব। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি এমন ঘৃণার কারণ কী! কতদিন স্রেফ গায়ের রঙের জন্য নির্যাতন সহ্য করতে হবে কৃষ্ণাঙ্গদের! এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সারা বিশ্বের বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষ। তবে সেই ফুটবলারের বউ কিন্তু ফ্লয়েডের মৃত্যুর জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন। আর সেটা তিনি প্রকাশ্যেই বললেন। এতে তাঁর অবশ্য কোনও ক্ষতি হল না। কিন্তু সেই ফুটবলার মহাসমস্যায় পড়ে গেলেন। চাকরি হারালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লকডাউনে হেয়ার কাট, জরিমানা দিতে হল আট লাখ টাকা


২৫ মে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিসের নির্মমতার ছবি দেখেছে সারা বিশ্ব। তার পরই আমেরিকাজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ চলছে। কেন এমন ভয়ঙ্কর আচরণ করা হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে! জানতে চান বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ণবাদী আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমেরিকার প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তো সরাসরি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করাতে চাইছেন। এমনকী তিনিই আমেরিকায় বর্ণবাদের মূল হোতা বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। গোটা আমেরিকা এখন ফ্লয়েডের মৃত্যুশোকে কাতর। তবে এলএ গ্যালাক্সির ফুটবলার আলেক্সান্দার কাতাইয়ের স্ত্রীকে এসব স্পর্শ করছে না। বরং তিনি বিক্ষোভে রীতিমতো বিরক্ত। আর তাই বিক্ষোভকারীদের জঘন্য গবাদি পশু বলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি। এমনকী তিনি বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে খুন করা উচিত। একদিন নয়, গত কয়েকদিনে লাগাতার বর্ণবাদী পোস্ট করেছেন সার্বিয়ান মিডফিল্ডারের স্ত্রী। আর তার শাস্তি এবার পেলেন কাতাই।


আধুনিক ফুটবলে চুক্তি সব সময় ফুটবলারদের পক্ষে। চুক্তিতে ফুবলারদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। আর তাই অনেক সময় চোটাক্রান্ত ফুটবলারকেও বাদ দিতে পারে না ক্লাব। চুক্তি বহাল রাখতে হয়। ফিফা এই ব্যাপারে কড়া অবস্থানে থাকে। কিন্তু কাতাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্য। এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দেওয়ার ছমাসের মধ্যে তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল ক্লাব। তাঁর স্ত্রীর বর্ণবিদ্বেষী আচরণের জন্যই ভুগতে হল তাঁকে। কাতাই অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীর মানসিকতার সঙ্গে সহমত নন। এমনকী তাঁর পরিবারের কেউই এই মানসিকতাকে সমর্থন করেন না। কিন্তু লাভ হয়নি। কাতাইকে ছাঁটাই করেছে ক্লাব।