Lakshya Sen: চিনকে হারিয়ে `ভারত উদয়`, লি শি ফেংকে হেলায় হারিয়ে কানাডা ওপেন জিতলেন লক্ষ্য সেন
ফাইনাল জেতা সহজ ছিল না লক্ষ্যের। নিজের থেকে নয় ধাপ (ক্রমতালিকায় ফেং ১৯, লক্ষ্য ১০) এগিয়ে থাকা ব্যাডমিন্টন তারকার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। ঠিক যে ভাবে সেমিফাইনাল খেলেছিলেন, সে ভাবেই ফাইনাল শুরু করেন তিনি। শুরুতেই ৬-২ এগিয়ে যান লক্ষ্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের (India) দাপটে পরাজিত চিন (China)। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। লক্ষ্য সেনের (Lakshya Sen) র্যাকেটের উপর ভর করে চিনকে হারিয়ে কানাডায় (Canada) উড়ল ভারতীয় পতাকা। মেগা ফাইনালে অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন (All England Champion) লি শি ফেংকে (Li Shi Feng) স্ট্রেট গেমে হারালেন লক্ষ্য। জিতলেন কানাডা ওপেন সুপার ৫০০ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট (Canada Open 2023)। এই টুর্নামেন্ট জয়ের সুবাদে ড্রাগনের দেশের ব্যাডমিন্টন তারকাকে হারিয়ে বিদেশে তেরঙ্গা ওড়ালেন ভারতের এহেন ব্যাডমিন্টন তারকা। লক্ষ্য সেনের হাতধরেই ভারতের ব্যাডমিন্টন এগিয়ে যাবে। তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া, সেটা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা এবারও দেখালেন তিনি। এবার তাঁর 'লক্ষ্য' এশিয়ান গেমস ও প্যারিস অলিম্পিক্স। এই দুই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি।
কমনওয়েলথ গেমসের চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্য সেন এদিনের ম্যাচ জিতলেন ২১-১৮, ২১-২০ ব্যবধানে। দ্বিতীয়বার কানাডা ওপেনের ফাইনাল খেললেন লক্ষ্য সেন। তিনি শেষবার বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে ২০২২ সালের অগস্টে ফাইনাল খেলেছিলেন। একই সময়ে, ইন্ডিয়া ওপেনের পরে, লক্ষ্য সেন চিনের লি শি ফেংকে হারিয়ে তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় সুপার ৫০০ খেতাব জিতেছেন।
আরও পড়ুন: Sunil Gavaskar: 'সানি ডেইজ', আইডল লিটল মাস্টারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লক্ষ্য বলেন, "গত কয়েকটা প্রতিযোগিতায় ছন্দ পাচ্ছিলাম না। তাই এই জয় আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা ম্যাচের পরিস্থিতি আলাদা ছিল। পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছি। তাই জিততে পেরেছি।" গত বছর কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলসে সোনা জেতার পর থেকে কোনও প্রতিযোগিতা জিততে পারেননি লক্ষ্য। চলতি বছরই মে মাসে মালয়েশিয়া মাস্টার্স জিতেছিলেন এইচএস প্রণয়। তার পরে আবার কোনও ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেন।
ফাইনাল জেতা সহজ ছিল না লক্ষ্যের। নিজের থেকে নয় ধাপ (ক্রমতালিকায় ফেং ১৯, লক্ষ্য ১০) এগিয়ে থাকা ব্যাডমিন্টন তারকার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। ঠিক যে ভাবে সেমিফাইনাল খেলেছিলেন, সে ভাবেই ফাইনাল শুরু করেন তিনি। শুরুতেই ৬-২ এগিয়ে যান লক্ষ্য। বিদ্যুৎ গতিতে শট মারছিলেন দুই খেলোয়াড়। ফেংয়ের দু’টি শটের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৯০ কিলোমিটার। আবার লক্ষ্যের কয়েকটি শট ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে। ফলে সমানে সমানে লড়াই চলছিল। তবে ম্যাচটি জিততে সময় লেগেছিল মাত্র ৫০ মিনিট। এই ম্যাচের আগে ফেংয়ের বিরুদ্ধে সেনের জয়ের রেকর্ড ছিল ৪-২। এর আগে সেমিফাইনালে, তিনি বিশ্বের ১১ নম্বর জাপানের কেন্টা নিশিমোতোকে বিরুদ্ধে স্ট্রেট গেমে জয় নথিভুক্ত করেছিলেন।